আজওয়া খেজুরের দাম

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করা হবে  আজওয়া খেজুরের দাম কত,  আজওয়া খেজুরের উপকারিতা, আজওয়া খেজুর খেলে বিষ জাদু ক্রিয়া করে না। বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণভাবে পড়ুন। 


আজওয়া খেজুরের দাম

প্রিয় পাঠক আপনাদের সকলকে জানাই পবিত্র মাহে রমজানের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। রমজান মাস আসার সাথে সাথে আমাদের দেশের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়।  সেই সাথে ইফতারের সময়ের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ফল হলো খেজুর। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের খেজুর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম  বা প্রসিদ্ধ খেজুর হলো আজোয়া খেজুর। এর চাহিদাও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ।এই খেজুরটি সাধারণত রপ্তানি করা হয় সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও প্রচুর আজওয়া খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


আপনারা অনেকেই জানতে চান যে বাংলাদেশের আজওয়া খেজুরের দাম কত তাই এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাংলাদেশের আজও খেজুরের বর্তমান দাম সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। মূল কথা হলো সঠিকভাবে আজওয়া খেজুরের দাম নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ সব ধরনের আজোয়া খেজুরের গুণগত মান এক নয় বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তাই এর মূল্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। 



বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দামি খেজুর হলো আজওয়া খেজুর।  এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পদ। এই খেজুরগুলো সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে আসে যার দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। 


 নিম্নে আরো ভালোভাবে আজওয়া খেজুরের তালিকা দেয়া হলো:

আজওয়া খেজুর    বাজারদর

১ কেজি                       ৮০০-২৫০০ টাকা

৫ কেজি                       ৪০০০-১২৫০০ টাকা

১০ কেজি               ৮০০০-২৫০০০ টাকা

১০০ কেজি                ৮০০০০-২৫০০০০ টাকা

১০০০ কেজি                 ৮০০০০০-২৫০০০০০ টাকা


প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা আজও খেজুরের বর্তমান দাম বাংলাদেশের কত এর একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন বলে আমি মনে করি। আজও খেজুরের দাম বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।  তাই  আমি আপনাদের সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন দামের তালিকা প্রকাশ করেছি। 


 আজওয়া খেজুরের উপকারিতা


খেজুর হলো একটি সুস্বাদু ফল। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি ও রয়েছে অনেক। অনেকে চিনির বিকল্প হিসেবেও খেয়ে থাকে। অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফলটি খাওয়ার সাথে সাথে ক্লান্তি ভাব দূর করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি সমৃদ্ধ।


খেজুরে ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে ক্যালোরি,প্রোটিন। আরো রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য আরো পুষ্টিগত উপাদান। খেজুর হলো ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি ফল। এই উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন প্রকার উপকার করে থাকে। ৩০ গ্রাম খেজুরের বা চারটি খেজুরের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। 

উপাদান পরিমাণ

ক্যালোরি ৯০

প্রোটিন ১ গ্রাম

গ্রামফাইবার ২.৮ গ্রাম

ক্যালসিয়াম ১৩ মি.লি.


আজওয়া খেজুরে রয়েছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট।  আমিষ, প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন -এ, ভিটামিন বি -সিক্স, খাদ্য আঁশ, ভিটামিন -সি ও ভিটামিন - কে। আজোয়া খেজুরে আরো রয়েছে ক্যারোটিন যা চোখের  জন্য বেশ উপকারী। আরো রয়েছে ফলেট, থিয়ামিন,নিয়াসিন, রিবোফ্লেভিন এর মত উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই কার্যকর।


আজওয়া  খেজুর দেহের পুষ্টির উপাদানের ঘাটতির পূরণের পাশাপাশি মানবদেহের শক্তি যোগায়। এই খেজুর একটি বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে দিনের প্রথমার্ধে যদি আপনি একটি খেজুর খেয়ে থাকেন তাহলে সারাদিনের কর্মক্ষমতা জোগাতে সক্ষমতা দেয়। রমজান মাসে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় এই ফল খেলে আপনার দেহে উঠবে আরো কর্মকাঞ্চল ও প্রাণবন্ত।

  


আজওয়া খেজুর খেলে বিষ জাদু ক্রিয়া করে না


পৃথিবীতে যতগুলো প্রজাতির খেজুর রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ প্রজাতির খেজুর হল আজওয়া খেজুর।এই প্রজাতির খেজুরটির উৎপন্ন হয় পবিত্র মক্কা নগরীতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজ  হাতে এই গাছ সর্বপ্রথম রোপন করেন। এই প্রজাতির খেজুর রয়েছে বিশেষ ধরনের বরকত ও ফজিলত।


আজওয়া খেজুর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন_ যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি করে আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন বিষ ও যাদু তার কোন ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি আরো বলেন যে, এ খেজুর হলো রোগ নিরাময়কারি ও এটি একটি জান্নাতের ফল। এর ভিতরে রয়েছে বিষ নিরাময়ের গুণ। 


শেষ কথা

আজওয়া খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুনাগুন যা মানব দেহের বেশ উপকারী একটি ফল। প্রতিদিন সকালবেলা কয়েকটি খেজুর খাওয়া ভালো। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অন্যান্য সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন এবংইউনিক কিছু তথ্য জানতে আমাদের ওয়েব পেজের নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url