কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে কাপড় ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন চলুন এবার দেরি না করে শুরু করা যাক কাচা ছোলা উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


ছোলার ডাল আমাদের দেশে বেশ পরিচিত একটি ডাল। রোজা আসলে আমাদের ছোলা খাওয়ার পরিমাণ টা একটু বেশি বেড়ে যায়। কিন্তু অনেকে সব সময় ছোলা খেতে খুবই পছন্দ করে। কেউ কেউ ছোলা ভিজিয়ে বা সিদ্ধ করে ভাজি করে খেতে পছন্দ, করে আবার কেউ ছোলা বুট হিসেবে চাবিয়ে খেতে পছন্দ, করে আবার অনেকে ছোলা ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পছন্দ করে।


ছোলা ডালে অনেক প্রোটিন রয়েছে। আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ছোলা সাহায্য করে থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ছোলা বুট বেশ পরিচিত। ছোলা বাড়তি শক্তি যোগায়।  পেটেও থাকে অনেকক্ষণ। ছোলা খেলে শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়।  তবে প্রতিদিন সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে বলে জানায় বিশেষজ্ঞরা।



কাঁচা ছোলা রয়েছে উচ্চ আঁশ । বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ছোলা খাওয়ার পর রক্তের সরকার মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বাড়লে এবং উপস্থিত গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। ছোলা মানুষের শরীরে এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে যার ফলে যে কোন অসুখের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করে। 


নিম্নে কাঁচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা দেয়া হলো :


যৌন শক্তি বাড়াতে:যৌন শক্তি বাড়াতে কাঁচা ছোলা যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।প্রতিদিনসকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেলে যৌন  শক্তি বাড়ে। শুকনা বা ভাজা ছোলা শ্বাসনালীতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কপ ভালো হওয়ার জন্য ভালো কাজ করে। ছোলায় প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার ও আঁশ রয়েছে। ছোলায়  ডায়েটেরি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দূর করে।



ডাল হিসেবে: ছোলা একটি পুষ্টিকর ডাল। ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং আস খাদ্য সেইসাথে আরো রয়েছে আমিষ, কপার, ফসফরাস, ট্রিপটোফ্যান  ও আয়রন, ফলেট আঁশ খাদ্য।

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:

কাঁচা ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ। আমেরিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানালে প্রকাশিত একটি বিশেষ গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে সকল অল্প বয়সী নারীরা অধিক পরিমাণে ফলিক এসিরযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা অনেক কম থাকে। বয়সন্ধির পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্টবিট ভালো রাখতে সাহায্য করে। 


রক্ত চলাচল:

যারা প্রতিদিন এর থেকে দের কাপ ছোলা শীন ও মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে  রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। 


ক্যান্সার প্রতিরোধে:

কাঁচা চুলায় রয়েছে প্রচুর ফলিক এসি ড যা গ্রহণের মাধ্যমে নারীদের করুন ক্যান্সার এবং ব্রেকল ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারে।  যাদের এলার্জির সমস্যা ও এজমার প্রভাব রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফলিক এসিডের কারণে এসব রোগের প্রকোপ কমিয়ে দেয়।  কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণা প্রমাণ করেছে।


ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী:

 প্রতি 100 গ্রাম ছোলায়  আছে ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন ও ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং পাঁচ গ্রাম ফ্যাট বা অয়েল শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভালো। 


অস্থিরতা দূর করে:

কাঁচা ছোলায়  শর্করা  গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরের প্রবেশ করার পর অস্থিরতা দূর করে।


হজম শক্তি:

প্রতিদিন সকালে ভিজানো ছোলা খেলে হজমের শক্তি বাড়ায়। পাক তন্ত্র ভালো কাজ করে। মলত্যাগ ক্লিয়ার হয়। 


ব্যথা দূর করে:

কাঁচা ছোলা খেলে মেরুদন্ডের ব্যথা স্নায়ুর দুর্বলতা হ্রাস পায়।  কারণ ছোলাতে রয়েছে ভিটামিন "বি" যা মেরুদন্ডের জন্য খুব কার্যকর।


শরীরেরওজন বাড়াতে ও কমাতে:

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ছোলা বেশ কার্যকর কারণ ছোলা রয়েছে আঁশ  যা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার যারা ওজন বাড়াতে চান তারা ছোলাকে গুঁড়ো  করে বা ছাতু বানিয়ে খেলে ওজন প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াতে পারেন।  প্রতি 100 গ্রাম ছোলায়  রয়েছে ৩৬০ কেলোরও বেশি শক্তি।

                        .

উপরে আলোচনা করেছি কাঁচা ছোলার উপকারিতা সম্পর্কে এবার আলোচনা করা হবে নিচে ছোলার অপকারিতা সম্পর্কে


অপকারিতা

*আমরা অনেকেই ফোলা ভেজে খেয়ে থাকতে খুবই পছন্দ করি।  তবে এটি ঠিক নয়।  অনেকেরই ওজন বৃদ্ধি পায় মোটা হয়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন।

 

*যাদের বমি বমি ভাব রয়েছে  তারা কাঁচা ছোলা খাবেন না। 


* অনেকেই আমরা তেল মশলা দিয়ে তৈরি করা কাঁচা ছোলা খেতে খুবই পছন্দ করি।  কিন্তু যাদের ওজন অনেক বেশি তারা এ ধরনের ছোলা  খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।  কারন অতিরিক্ত তেল মশলা তাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। 


*যেসব মানুষের হজম শক্তি কম, কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের রক্তের ডাইলেসিস চলছে, তাদের শরীরে কিটেইনেন ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি রয়েছে ,তাদের  সব রকমের ছোলা খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন ও সুস্থ থাকুন।








Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url