পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম

প্রিয় পাঠক আমাদের সবার কাছে অতি পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যা এই গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যা থেকে পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম কিভাবে করা যায় এ বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে করুন পড়ুন। আর দেরি না করে এবার শুরু করা যাক।

পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম


আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সামান্য পরিমাণ খাবারের অনিয়ম ঘটলেই পেটের ভেতর সৃষ্টি হয় গ্যাস আরে গ্যাস থেকে হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার যা আমাদের ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমান সময়ে খাদ্যদ্রব্যে যে পরিমাণ ভেজাল রয়েছে তাতে দিনের দিন গ্যাসের সমস্যা সবারই বৃদ্ধি পাচ্ছে।  মনে হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা মানুষের জীবন একটি অংশ দাঁড়িয়েছে।



খাবার সময় তরল কোন কিছু পান করার সময় আমাদের শরীরের ভিতরে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন প্রবেশ করে থাকে। আবার আমাদের পরিপাকতন্ত্রের খাদ্য হজম হওয়ার সময় হাইড্রোজেন মিথেন বা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের গ্যাস বের হয়ে পেটে জমে। এর ফলে সৃষ্টি হয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। 

আবার কিছু ধরনের উচ্চ ফাইবারযুক্ত ও আঁশযুক্ত  খাবার ও শাকসবজি খাদ্য গ্রহণ করলে সেগুলো সবটা আমাদের পাকস্থলীতে হজম করতে পারে না। এর ফলে এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এ সমস্যার সমাধানও কিন্তু আপনি নিজেই করতে পারেন ঘরে বসেই এবং পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে।

 

নিম্নে পেটে গ্যাস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় /ব্যায়াম উল্লেখ করা হলো:


 ব্যায়াম করা:

ব্যায়াম করলে শরীর ও মন উভয় ভালো থাকে এটা আমরা সবাই জানি। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে ব্যায়াম অনেক কার্যকরী তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। খাবার গ্রহণ করার পর হাঁটার অভ্যাস করুন এতে করে দেশটিকের সমস্যা থেকে এড়াতে পারবেন। তরুণ -তরুণীরা, যুবক -যুবতিরা আপনারা চাইলে ধরে লাভ দড়ি লাফ  বা হাটা  হাটা  গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতেও অনেক কার্যকরী এ ধরনের ব্যায়াম। 


পানি পান করা:

আমাদের অনেকেরই গ্যাসে সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে থাকে কম পানিপান করার জন্য।  আমাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ করতে হবে। আর এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি আরো অনেক রোগ থেকে মুক্তি লাভ পেতে পারি। প্রতিদিন ৬ থেকে আট গ্লাস পানি পান করুন। 


আপেল সিডার ভিনেগার:

গ্যাসের সমস্যা কমাতে আপেলের সিডার ভিনেগার খেলে এটি গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে খুবই কার্যকর। খাবার খাওয়ার পূর্বে পানি অথবা চায়ের সাথে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রণ করুন এতে করে খুব ভালো একটা উপকার পাবেন। এটি প্রতিদিন নিয়মিত করে দুই থেকে তিনবার পান করুন।


লেবু:

লেবু পানি বা লেবু চা পান করা মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা যায়। এর সাথে সামান্য পরিমাণ জিরা ও লবণের গুড়া মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। 


পুদিনা পাতা:

গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য পুদিনা পাতা বেশ ভালো কাজ করে।  আপনি যদি কয়েকটি পাতা ধুয়ে মুখে নিয়ে ভালো করে চিবিয়েও যদি খেয়ে থাকেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা  কমবে। 


দারুচিনি:

গ্যাসের সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর এই দারুচিনি। তার পাশাপাশি অনেক ভালো  কার্যকরী। ফুটন্ত পানিতে দারুচিনি ঢেলে দিয়ে তারপর কুসুম গরম অবস্থায় খেতে পারেন। এছাড়াও চা অথবা দুধের সাথে দারুচিনির গুড়া মিশ্রণ করে খেতে পারেন।  এতে করে আপনি অনেকটাই উপকৃত হবেন। 


আদা:

বিশেষজ্ঞদের মতে পেটে গ্যাসের সমস্যা সমাধার জন্য সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপাদান হলো আদা।চায়ের সাথে অথবা ফুটানো পানির সাথে আদা কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন। আরো ভালো ফল পেতে আদা লেবুর রস এর সাথে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি বদ হজম থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। 


এছাড়াও পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ থেকে বাঁচার উপায়:

*খাবারের মেনু কার্ড থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করা।

* বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে সাধারণত পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। 

* অতিরিক্ত তেলের খাবার ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া। 

* বেশি করে প্রথম ফাস্টফুড খাবার খাবার খেলে। 

* ধূমপান করে থাকলে। 

* কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে থাকলে। 

* পাক তন্ত্রের হজমের সমস্যা দেখা দিলে। 

* বেশি পরিমাণ মসলাযুক্ত খাবার খেলে। 

* খাদ্য গ্রহণ করার পর পর্যাপ্ত পানি না খেলে। 

* অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা হলেও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। 



পেটের গ্যাস কমানোর উপায়


যারা গ্যাসের ব্যথায় কাবু হয়ে রয়েছেন তারাই বুঝেন এটি কতটা যন্ত্রণাদায়ক। অনেকে মাঝে সাজেও দাওয়াতে বেশি খেলে, ভাজাপোড়া বা পার্টিতে মসলাযুক্ত  খাবার খেলে সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় গ্যাসের অস্বস্তিকর সমস্যা।

 

পেটের গ্যাস কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান গুলো হল আদা উচিত মধু ও লেবুর রস এগুলো হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে পেটে গ্যাসের পরিমাণ কমতে থাকে।

 



বাচ্চার পেটের গ্যাস বের করার খুব সহজ ব্যায়াম


আমাদের আমাদের বয়স্ক লোকদের মতো ছোট বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে মালিশ করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যা দূর করা যায়।\

 

মায়ের খাবার-দাবারের উপর ভিত্তি করেও সন্তানের গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে কারণ নবজাতিক  মাতৃদুগ্ধ পান করে থাকে। ব্যথায় কাদা পেট ফুলে যাওয়া খিটখিটে হয়ে যাওয়া ও ঠিক করে দুধ পান না করতে পারা এর থেকে গ্যাস বের হওয়া ঘুমে অসুবিধা সব ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে মালিশ করতে হবে। মেসেজ করার জন্য ভালো কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন।


যে অয়েল শিশুর ত্বকে ভালো করে শুট করবে।  সেই তেল ব্যবহার করা উচিত। ঘড়ির কাঁটা যেমন ভাবে ঘুরতে থাকে সেইদিক থেকে এই মালিশ শুরু করুন ডান হাতের সাহায্যে বা থেকে ডান দিকে হাফ সার্কেল আকারে পরবর্তীতে বাম হাত দিয়ে বৃত্ত সম্পন্ন আকারে মালিশ করুন। মেসেজ করার সময় হালকাভাবে করবেন। আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url