পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রিয় ভিউয়ার্স আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করব পা ফুলা কমানোর ঘরোয়া উপায়।  সম্পূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।  চলুন আর দেরি না করে এবার শুরু করা যাক। 

পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়

সাধারণত পা ফুলে থাকে কিডনির সমস্যা থাকলে, হৃদরোগের সমস্যা থাকলে, লিভারের কোন সমস্যা থাকলে। তাছাড়াও ওজন বেড়ে গেলে শরীরের পুষ্টি অভাব দেখা দিলে নিয়মিত চর্চা না করা হলে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া করলে পাপ ফুলে যাওয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।


শিরায় কোন সমস্যা থাকলে এই পা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  বেশিক্ষণ পা ঝুলে বসে থাকলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।  রক্ত নালিকার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত হৃদযন্ত্রে চলাচল করতে পারে না। এর ফলে শিরাগুলো ফুলে ওঠে এবং রস জমতে থাকে এই রস গুলো চামড়ার নিচে জমে যাওয়ায় পা ফুলে যায়। চিকিৎসকের ভাষায় এটিকে এডিমা বলা হয়।



 আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ সময় এসিতে বসে কাজ করে থাকেন তাতেও পা ফেলতে পারে।  কারণ ভিটামিন ডি থ্রি এর অভাব দেখা দেয়। বেশিগুলো পেশিগুলো খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পা ফুলে যায় ধীরে ধীরে। যদি কারো সাধারণ অবস্থাতেই এই পাপ ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এর জন্য আপনি পা ফোলার কমানোর ঘরোয়া উপায় প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। 


নিম্নে পা ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:


* পা পা ফুলে গেলে পরিমাণ মতো অলিভ ওয়েলে এর মাঝে দুই বা তিনটি রসুনের কুঁচি  দিয়ে ফুটিয়ে নিবেন।  এবার এই অয়েল দিয়ে দিনে দু-তিনবার পা ফুলে যাওয়া স্থানে মেসেজ করুন এর ফলে আপনার প্রদাহ কমে যাবে এবং পা ফোলা ভাব কমে যাবে।


* প্রত্যেকদিন গোসলের পর উষ্ণ সরিষার তেল দিয়ে পা মেসেজ করুন। কয়েকদিন ব্যবহারের মাধ্যমে যদি পা ফোলা কমে থাকে তাহলে এর প্রভাব আপনি নিজ চোখে দেখতে পারবেন।


* চায়ের ভিতরে আদা দিয়ে চা খেলে এতে করে পায়ের প্রদাহ কমে থাকে। 


* পায়ের ফোলা ভাব স্থানে গরম জলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে এরপর এতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে তারপর সেটা পায়ে চেপে রাখুন অল্প অল্প করে।  কিছুটা স্বস্তি লাগবে এবং আস্তে আস্তে পা ফোলা ভাব কমতে থাকবে। 


* ধনে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে পা ফোলা স্থানে  লাগালে পায়ের প্রদাহ কমবে ও দ্রুত স্বস্তি পাবেন। ধনের পেস্ট বানাতে হলে আধা কাপ জলে দুই টেবিল চামচ ধনে ভিজিয়ে রাখতে হবে।  আধঘন্টা পরে সেই ধনে বেটে পেস্ট  তৈরি করতে হবে। 


* গরম পানিতে শিলা  লবণ এবং ফটিকের গুঁড়ো করে প্রতিদিন পা ফোলা স্থানে ছ্যাকা দিন। ধীরে ধীরে পা ফোলা ভাব কমতে থাকবে। 


* প্রতিদিন খাদ্য তালিকার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।  জাঙ্ক ফুড এবং জাঙ্ক ফুড প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সীমিত পরিমাণে নুন এবং চিনি খেতে হবে।


* ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন ফাইবারযুক্ত খাবার গুলো হলো আপেল, নাশপাতি, কলা, বিট ব্রোকোলি অঙ্কুরিত শস্যদানা খাবার বেশি করে খেতে হবে। 

* আমরা আরাম করে একটানা পা ঝুলিয়ে বসে থাকি এর কারণে পাফুলে  থাকে এটি করবেন না আর নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করবেন।


    

 পা ফোলা কমানোর ঔষধ

সবার পা ফোল ার উপসর্গ এক রকমের হয় না।  কারো পায়ের ত্বকের রং বদলে যেতে পারে, ত্বক খসখস হতে পারে, পায়ের ত্বকে তাপমাত্রার বৃদ্ধি পেতে পারে, ত্বক স্পর্শ করলে গরম রাখতে পারে এবং ত্বকে ঘা আর পুঁজ হতে পারে ,এজন্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পা ফোলা কমানোর ওষুধ খেতে হবে। 


পা ফোলা কমানোর ওষুধ সেবন করা পাশাপাশি আপনার জীবনধারাও পরিবর্তন করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বাড়ার ফলে পা ফুলতে পারে এজন্য আপনাকে ওজন কমাতে হবে। পায় বেশি আঘাত লেগে থাকলে চিকিৎসক অস্ত্রপাশর এবং বিশ্রামের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি পা ফোলার সাথে ব্যথাও থাকে তাহলে চিকিৎসক আপনাকে ব্যাথা কমানোর ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল এবং ইবুপ্রোফেন দিতে পারেন এবং সাথে বিশ্রামের পরামর্শ দিতে পারেন।


 

পা ফোলার কারণ কি


অনেক সময় হঠাৎ করে আপনাদের পা খুলে যায়।  এই পা ফোলা নিয়ে রোগীদের মধ্যে উদ্যোগ বেড়ে যায়।  হঠাৎ হাত পা ফোলা অবহেলার কোন বিষয় নয়।  বিশেষভাবে লক্ষ্য করার বিষয় এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে দুই পা  ফুলা  না কি এক  পা ফোলা দুই পা যদি একসঙ্গে ফুলে যাওয়া দেখা যায় সাধারণত নিজের কারণগুলো বিবেচনায় নিতে  হবে হার্ট ফেইলিউর,  কিডনি ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর,  থাইরয়েড হরমোনের অভাব ও   কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।


ডিভিটির কারণে পা ফোলা দেখা দিয়ে থাকে। ডিভিডি হল যে পথ গুলো দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে যায় সেগুলোকে বলা হয়। শিরাকে ইংরেজিতে ভেন বলা হয়। কোন কারণে যদি এসব মোটা শিরার মধ্যে রক্ত জমাট বেধে যায় তাহলেই ডিভিডিটি দেখা যায় অর্থাৎ পরবর্তীতে পা ফুলে যায়। ধমনীর মাধ্যমে রক্ত থেকেই পায় আসছে কিন্তু সে রক্ত আবার ফিরে যেতে পারছে না তাই পা ফুলে   যায়।


শেষ কথা

উপরের লেখাগুলো থেকে আপনারা কম-বেশি ধারণা পেয়েছেন। আমরা সব সময় আপনাদের জন্য চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও সমস্যা তুলে ধরতে।  যে কোন তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url