লো প্রেসারের ওষুধের নাম

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই লো প্রেসার হয়ে থাকলে ওষুধের কথা চিন্তা করে থাকেন কি ধরনের ওষুধ খেলে লো প্রেসার থেকে হাই প্রেসারে নেওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক। 

লো প্রেসারের ওষুধের নাম

অনেকের হঠাৎ করেমাথা ঝিমঝিম করে।  হঠাৎ করে ব্ল্যাক আউট বা মাথা ঘুরে যায়। তখন প্রেসার মেপে দেখতে হবে। প্রেসার মাপার পর দেখা গেল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নিচে। তখন কি করবেন? এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে না তো? এরকম নানা ধরনের আতঙ্কে অনেকে  ভুগতে থাকেন।অনেকেরই লো প্রেসার দেখা দেয় তখন কি করবে ভেবে পায় না আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে লো-প্রেসারের ওষুধের নাম জানাবো।


 

যখন কোন ব্যক্তির শরীরের ব্লাড প্রেসার মাপা হয় তখন চলতি কথায় আমরা যাকে উপরের প্রেসার বলি সেটি হল Systolic BP আর নিচের দিকে যে বিষয়টি থাকে তার অর্থ হলো diastolic প্রেসার।সাধারণত স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরা হয়।  systolic: ১২০ বা তার কম mm Hg, diastolic: ৮০ mm Hg, নিম্ন রক্তচাপ systolic: ১০০ বা তার কম mm Hg, diastolic: ৬০ mm Hg.



চিকিৎসকশুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় মতে,ব্লাড প্রেসার লো হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় মহিলাদের ক্ষেত্রে। তবে অনেকেই ব্লাড প্রেসার লো হওয়া  সত্বেও কেউ কেউ তা স্বচ্ছন্দে জীবন কাটিয়ে দেন।তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। কোন কোন মহিলার তো বুঝে উঠতে পারেন না তিনি লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় ভুগতেছেন।


যদি কখনো কারো লো ব্লাড প্রেসার হওয়ায় শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কারণ মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরা, হাত পায়ে শক্তি না থাকা বা শরীর দুর্বল কাটা, চোখে অন্ধকার দেখা, এ সমস্যা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাবেন।  তিনি নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন রোগীর অন্য কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা।



লো প্রেসার হওয়ার কারণ অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে। আমরা অনেকেই ভেবে থাকি লো প্রেসার হলে ওষুধ খেয়ে নিব। মূলত লো প্রেসারের জন্য তেমন কোন ওষুধ নেই। যা খেলে সাথে সাথে আপনার প্রেশার হাই করে তুলবে। লো প্রেসার হলে তার প্রতিকারের জন্য রোগীকে ওআরএস খাওয়াতে হবে। রোগী যদি ওআরএস খেতে না পারে তাহলে ওয়াটার স্যালাইন দিতে হবে।  নুন জল খাওয়াতে হবে। 




ব্লাড প্রেসার যদি ১৪০ / ৯০ এর বেশি হয় তবে ওষুধ খাওয়া শুরু করতে হবে। তবে লাইফস্টাইল মডিফিকেশন শুরু করতে হবে সময় হাতে থাকতেই। প্রয়োজনে ২০ পার হলেই। বর্তমানে ২০ বয়সের হাইপারটেনশনের রোগীর সংখ্যা প্রচুর। কখনোই অবহেলা করবেন না অবহেলায় ঘটে যেতে পারে অনেক বড় ধরনের বিপদ।
 

যাদের লো প্রেসারের কোন উপসর্গ নেই তারা আল্লাহর অশেষ রহমতে দিব্যি ভালো রয়েছেন তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই লো প্রেসার নিয়ে।


লো প্রেসারে ঘরোয়া সমাধান


অতিরিক্ত চিন্তা করলে, পরিশ্রম, ভয় ও স্নায়ু দুর্বলতা থাকলে লো ব্লাড প্রেসার দেখা দেয়। প্রেসার লো হওয়ার সাথে সাথে মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধরফর ধরফর করা, অবসাদ ও চোখে ঝাপসা দেখা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে অসুবিধা দেখা দেয়। লো প্রেসার দেখা দিলে যা করণীয়:


প্রথমে লবণ পানি খাওয়াতে হবে কারণ লবণ পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের সোডিয়াম যা রক্তচাপ তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িয়ে থাকে।  তবে পানিতে বেশি লবণ দেওয়া যাবে না।  সবচেয়ে ভালো হয় একগ্লাস পানিতে 2 চা চামচ চিনি 2 চা চামচ লবণ মিশিয়ে খাওয়ালে।  তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পানিতে  চিনি মেশানো যাবে  না।

 

এছাড়াও দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে স্ট্রং কফি, হট চকলেট,কোলাসহ যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় খাওয়াতে পারেন। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন যা বেশ কার্যকর।যারা দীর্ঘদিন ধরে একই সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালের ভারী নাস্তা পরে এক কাপ স্ট্রং কফি খাবেন।লো-প্রেসার হলে সবসময় কোমলপানীয় না খাওয়াই ভালো।যেমন উপকার রয়েছে তেমনি অন্যান্য ক্ষতিকারক রয়েছে।এছাড়াও পুদিনা, যষ্টিমধু, বিটের রস, খেতে পারেন। 


 

লো প্রেসার হলে যে খাবার খাওয়া দরকার


লো প্রেসার রোগীদের জন্য যতটা সম্ভব তরল গ্রহণ করুন। রক্তচাপ কমে যাওয়ার সাথে সাথে শরীর রক্তের পরিমাণ কমে যায়। তাই শরীর হাইট্রেড  থাকা খুবই প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করুন।পানি ছাড়াও আপনি নারকেলের পানি, রস, লাচ্ছি ,আঙুর  এবং তরমুজ খেতে পারেন।


এছাড়াও আপনি পনির খেতে পারেন।এটি আপনাকে লো প্রেসার সমস্যা থেকে রক্তচাপ বাড়াতে অনেকটাই সাহায্য করবে। লো -বিপি  থাকলে উচ্চমাত্রার লবণ ও পনির খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও ক্যাফিন, লিকার চা শরীরের রক্তচাপ বাড়ায় ফলে প্রেসার বৃদ্ধি পায়।

 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা আপনাদের কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। আশা করি আপনারা আর্টিকেল থেকে অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও অন্যান্য সব তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং যে কোন তথ্য জানতে চাইলে ওয়েব সাইটে নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url