প্রেসার মাপার নিয়ম

প্রিয় পাঠক ব্লাড প্রেসারের সমস্যা কমবেশি সবারই রয়েছে। বাসার কারো প্রেসারের সমস্যা দেখা দিলে বিপি মেশিন থাকা সত্ত্বেও আমরা জানি না সঠিকভাবে ব্লড  প্রেসার মাপার নিয়ম সম্পর্কে। আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানাবো প্রেসার মাপার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।  আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

প্রেসার মাপার নিয়ম


*রোগী চেয়ারে বসা অবস্থায় চেয়ারের পিছনে হেলান দিয়ে দুই হাত টেবিলের উপর রাখবে। রোগীর হাত এমন ভাবে রাখতে হবে যেন হার্টবিট সমতল থাকে। প্রেসার মাপার সময় রোগী হাপাতা অথবা ঢিলা পোশাক পড়া থাকলে প্রেসার মাপতে সুবিধা হয়। ফুলতা জামা পড়ে থাকলে জামার হাতা উঠিয়ে রাখার সময় যেন টাইট না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্লাড প্রেসার মাপার সঠিক নিয়ম হলো কাপ  কনুই থেকে 2. 5 সেন্টিমিটার উপরে বাঁধন।  একেবারে ঢিলে  ভাবে বা টাইট  করেও বাধা যাবে না। বাচ্চাদের ও স্থুল  ব্যক্তিদের কাফের সাইজ  ভিন্ন হয়ে থাকে।




* ব্রাকিয়াল  ধমনীর অবস্থান ঠিক করে কনুইর  উপরে হাত দিয়ে  স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসাতে হবে। ডায়াফ্রাম কখনো কাপড় উপর রাখবেন না।  কারণ কাপড় উপর রাখলে ডায়াফ্রাম  ও কাপড়ের ঘর্ষণের শব্দ শুনতে অসুবিধা হয়।

 

*হার্টের  সমতলে রাখতে হবে মিটার  স্কেলটি।


* মাঝে মাঝে প্রেসার  মাপতে  গিয়ে প্রকৃত সিস্টোলিক  প্রেসার এবং শব্দ শোনার  মাঝে একটা গ্যাপ তৈরি হয়। এই গ্যাপ কে বলা হয় অসকালটেটরি গ্যাপ। এই গ্যাপটি এড়ানোর  জন্য সর্বপ্রথম পালপেটরি মেথডে সিস্টোলিক প্রেশার দেখতে হবে।


দেখার নিয়মাবলী হলো রেডিয়াল ধমনীর উপর হাত রেখে ব্লাডার ফোলাতে হবে। 


অর্থাৎ পাম্পার দিয়ে পাম্প করে কাপ ফোলাতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পালস   বন্ধ না হয়। আমরা তিন আঙ্গুলের সাহায্যে কব্জির  দুই সেন্টিমিটার নিচে সাইডে রেডিয়াল পালস অনুভব করি। রেডিয়াল পালস তেমন কিছুই না আমরা সাধারণত হাতে যে পালস দেখে থাকি তাই হল রেডিয়াল পালস।আর সিস্টোলিক  যেখানে বন্ধ হবে সেটা সিস্টোলিক।


তারপর মিটার ৩০ মিলিমিটার উপরে উঠাতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে চাপ কমাতে হবে ও ব্রাকিয়াল  ধমনীতে রক্ত চলাচল করার কারণে Korotcoff sound শুনতে হবে।অতএব শব্দ সেখানে শুরু হয় সেটা হল সিস্টোলিক প্রেসার   এবং শব্দ যেখানে শেষ হয় তাকে বলা হয় ডায়াস্টোলিক  প্রেসার।


প্রেসার মাপার মেশিনের দাম কত


বাসায় অনেকের ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকায় প্রেসার মেশিন কিনতে চান। তবে অনেকে জানেন না ব্লাড প্রেসার মেশিন এর দাম ও ব্লাড প্রেসার মেশিনকত প্রকার।  আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো।


বর্তমান সময়ে বাজারে সাধারণত দুই ধরনের ব্লাড প্রেসার মেশিন রয়েছে।একটি  ডিজিটালএবং অন্যটি  স্ফিগমোম্যানোমিটার।   স্ফিগমোম্যানোমিটার মেশিনটি হল পূর্বের দিনের পুরাতন ডাটা পদ্ধতি যা সম্পূর্ণভাবে এনালগ পদ্ধতি। এটি মানুষের বাহুতে ব্যবহারের মাধ্যমে রক্তচাপ নির্ণয় করা হয়। অন্যদিকে ডিজিটাল মেশিনগুলোর সম্পূর্ণ ডিটিটাল মনিটরের মাধ্যমে   মানুষের রক্তচাপের রেজাল্ট সহ ডাটা প্রদান করা হয়ে থাকে। এটি কব্জিতে  ব্যবহার করা হয়। 






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url