জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম
বর্তমান সময়ে কম-বেশি প্রত্যেক ঘরেই কারো না কারো জ্বর সর্দি কাশি হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই ঘরেই বসেই এসব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। একটা প্যারাসিটামল খেলেই দর্শকদের কাশি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। এছাড়াও গা ম্যাজম্যাজে জ্বর ভাব তা থেকে মিলবে মুক্তি। একটা সময়ে এ ধরনের ওষুধ পেতে প্রেসক্রিপশন এর প্রয়োজন হতো। তাই সাধারণ মানুষের চিন্তা করে সেই নীতি থেকে পরিবর্তন ঘটালো কেন্দ্র। প্যারাসিটামলসহ মোট 16 টি ওষুধের জন্য কোন প্রকার প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হবে না। এ ভাষ্য জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
প্যারাসিটামল সহ মোট ওষুধ কে (ওটিসি) এর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। এর ফলে সাধারণ জনগণ ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যে কোন দোকানে গেলেই মিলবে প্যারাসিটামল সহ ওই 16 টি ওষুধ। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে পেটের সমস্যা, নাক বন্ধ ঠিক করার মত ওষুধ। আরো তালিকা রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের খুব ভালো একটা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
১৯৪৫ সালের যে তৈরি ড্রাগ আইন ছিল তা সংশোধনের কথা বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ওটিসি তালিকাভুক্ত ১৬টি ওষুধকে যেন ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন থেকে যাতে ছাড় দেওয়া যায়। সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লক্ষণীয় হলো খুচরা বিক্রেতারা ওষুধ বিক্রিতে যেন কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়ে। এজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্র। এই আইনের সংশোধনী আগামী এক মাসের ভিতরে গেজেট আকারে প্রকাশিত করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্র।
এবার আপনাদেরকে জানাবো ওটিসি তালিকাভুক্ত ১৬টি ওষুধের মধ্যে কি কি রয়েছে।
পোভিডন, আয়োডিন, অ্যান্টিসেপটিক, জীবাণুনাশক এজেন্ট, এছাড়াও রয়েছে ক্লোট্রিমাজোল , ক্লোরোহেক্সিডিন মাউথওয়াশ ও এন্টি ফাঙ্গাস ক্রিম। কাশির জন্য ডেক্সট্রোমেথরফান,হাইড্রোব্রোমাইড লজেন্স। ব্যথার মলম হিসাবে ডিক্লোফেনাক, বেনজয়েল পারক্সাইড। মুখে ব্রণের জন্য এন্টি ব্যাকটেরিয়াল,ডিফেনহাইড্রিম্যান ক্যাপসুল, এন্টি অ্যালার্জি ড্রাগ,অ্যান্টিহিস্টামিনিক এবং প্যারাসিটামল এর মত প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রয়েছে এই ওটিসি এর তালিকায়।
সংশোধন এখন পর্যন্ত না হলেও প্রেসক্রিপশন ছাড়া সাধারণ রোগীরা ওষুধগুলি ব্যবহারে কোন ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হবে না। এ ধরনের ওষুধ পাঁচ থেকে ছয় দিন ব্যবহার করা যাবে বিশেষ শর্তাবলিতে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে রোগ না সেরে উঠলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
একটি কথা মাথায় রাখতে হবে বর্তমান সময়ে দেশে বহু ফার্মেসিতে একাধিক ওষুধ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়। এ সমস্ত ঘটনার জন্য কোন সঠিক নিয়ম ছিল না।