আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আজকে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর সম্পর্কে জানানো হবে।বিস্তারিত ভাবে আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

আক্কেল দাঁত ব্যথা কমানোর উপায়


দাঁতের ব্যথা যেমন কষ্টদায়ক ঠিক তেমনি চিকিৎসা কষ্টকর। দাতের অস্ত্র পচার,  দাঁত তোলা, দাঁতের রুট ক্যানেল এর মতো কষ্টদায়ক চিকিৎসা থেকে বাঁচতে চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু নিয়মাবলী মেনে চললে দাঁতের ব্যথার উপশম পাওয়া যায়। অনেকেই আক্কেল দাঁতের ব্যথা নিয়ে সমস্যায় ভুগেন। আক্কেল দাঁতগুলো মুখের অন্যান্য দাঁতগুলো ক্ষতি করে থাকে। অনেক সময় আক্কেল দাঁত ভেঙে মাড়ির মধ্যে আটকে যায়।




এজন্য আক্কেল দাঁত অল্প বয়সের মধ্যে  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুলে ফেলার  পরামর্শ দিয়ে থাকেন দাঁতের চিকিৎসকরা। এর মূল কারণ হলো বয়স বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে মুখের ভেতরে হাড় শক্ত হয়ে যায়। সে সময় আক্কেল দাঁত তোলা ততটাই কঠিন হয়ে পড়ে ও কষ্টসাধ্য হয়। যদিও এ কষ্টসাধ্য সহ্য করার জন্য ব্যথা নিরাময় ওষুধ রয়েছে।  তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর প্রতিকার আরো বেশি কার্যকর।

 


আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে টোটকা ব্যবহার করা যায় সেগুলো নিচে দেয়া হলো:


লবণ পানি দিয়ে কুলি করুন


আক্কেল দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতিতে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও উষ্ণ গরম পানিতে সোডিয়াম, ক্লোরাইড মিক্স করে কুলি করলে ভালো হয়। এভাবে কুলি করার ফলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে ফেলে এবং দাঁতের মাড়িকে সুস্থ ও সবল রাখে।


আক্কেলদাঁতের কারণে অন্যান্য সব দাঁতগুলোর  ব্যাথা হয়ে থাকে যাকে সিস্ট  বলা হয়। লবণ আর পানি মিশিয়ে কুলি করলে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও  গরম পানিও লবণ দিয়ে দাঁত, মাড়ি ও গলা ব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলি করে ফেলুন। এতে মুখের ভিতর কোন ইনফেকশন থাকলে তা সেরে উঠবে। 


পিপারমিন্ট 

পিপারমিন্ট পাতায় যা উপস্থিত থাকে তা ব্যাথা এবং প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এক টুকরো তুলো পিপারমেন্টের নির্যাসে ডুবিয়ে মাড়িতে  লাগান। 


লবঙ্গ ও তেল

ক্লোভ অয়েল ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। কারণ  ক্লোভ  ওয়েলে এনালজিস্টিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা উপশম করে এবং সংক্রমনের ঝুঁকি দূর করে থাকে। দাঁতের মাড়ির বাড়ির ব্যথা কমাতে লবঙ্গ তেল বা ছয়টি লবঙ্গের কুঁড়ি পানিতে ফোটান এবং দাঁতের মাড়িতে মেসেজ করুন। এতে আক্কেল দাঁত ব্যথা কমবে।


এলোভেরা

আক্কেল দাঁত সহ আশেপাশে দাঁতের ব্যথা হলে অ্যালোভেরা ব্যবহার ফলে সহজে উপশম পাওয়া যায়। তাছাড়া দাঁতের ফুলাফুলা ভাব দূর করে। আক্কেল দাঁতের মাড়ির গোড়ায় এলোভেরা জেল লাগালে বেশ কার্যকর। কারণ এটি ব্যথার সেই অংশটিকে শীতল রাখে এবং ব্যথা দূর করে।


  

 আক্কেল দাঁত কত বছর বয়সে হয়


প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে জানেন না আক্কেল দাঁত কত বছর বয়সে ওঠে এ নিয়ে সবার ভিতরেই কম বেশি কৌতুহল জেগে ওঠে। তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো। সাধারণত আক্কেল দাঁত ওঠার বয়স ১৭ থেকে ২৫  বছর।


মুখের ভিতরের উপর নিচের মাড়ির   একেবারে শেষ প্রান্তের মোট চারটি দাঁত কে আক্কেল দাঁত বলা হয়।সবার যে একই সময়ে আক্কেল দাঁত উঠে থাকবে বিষয়টি এমনও নয় অনেকের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সেও আক্কেল দাঁত গজানোর দৃষ্টান্ত আছে।

 

আক্কেল দাঁত তুলার সটিক সময় কি


আক্কেল দাঁতধারাই যে সবসময় ব্যাথা হয় বিষয়টি এমন নয়। বিষয়টি হলো আক্কেল দাঁতের আশেপাশের যে দাঁতগুলো রয়েছে সে দাঁতগুলোকেও আক্কেল দাঁত ক্ষতি করে থাকে। অনেক সময় আক্কেল দাঁত ভেঙে মাড়ির  ভিতর  আটকে যায়। তাই ডেন্টিস্টরা আক্কেল দাঁত যত অল্প বয়সী সম্ভব তুলে ফেলা পরামর্শ দেয়।


 

আক্কেল দাঁতের সমস্যায় করণীয়


আমাদের দাঁতের পাটির   একেবারে শেষের দাঁত কে বলা হয় আক্কেল দাঁত। এ দাঁত কিশোর বয়সের শেষের দিকে এবং যৌবনের শুরুর দিকে গজিয়ে উঠে । আক্কেল দাঁতের সমস্যার মূল কারণ হলো কারো কারো ক্ষেত্রে এটা অর্ধেক বেরিয়ে এসে আর বেরিয়ে আসে না এবং মাড়ির  ভিতরে আটকে থেকে এবং প্রচন্ড ব্যথা হয়।


অতএব আক্কেল দাঁত পুরোপুরিভাবে না উঠলে। বরং ব্যথার সমস্যা দেখা দিলে সেটা তুলে ফেলা ভালো।কারণ মাড়ির  ভিতর ইনফেকশন হয়।  তারপর দাঁতে পোকা লেগে যায় তাছাড়াও একাধিক মুখের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

 

আপনার আক্কেল দাঁত যদি আপনার জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়ে দাঁড়ায় তাহলে ভবিষ্যতের তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আক্কেল দাঁত কে তুলে ফেলা উচিত।


শেষ কথা

দাঁত একটি সেনসিটিভ বিষয়  অবহেলা করলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।  তাই সর্বোপরি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।  ডেন্টিস চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী।  ব্যাথা হলে ফেলে রাখবেন না অহেতুক দাঁত ব্যথার কারণে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক খাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url