তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়।

 

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় এই বিষয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। তৈলাক্ত ত্বক অথবা স্কিন  অয়েল যেটাই বলি না কেন, এটা নারী পুরুষ সকলেরই এই সমস্যা দেখা যায়। ত্বক এমন একটা জিনিস যা সৌন্দর্যতা কে না চায়। আর এই ত্বকের এক একজনের সিমটাম  এক এক রকম।


ত্বকে ও ফেইজে পিম্পল ব্রণ এসবের সাথে সাথে অনেকে তকে তেল  জমে থাকে।  যা  তাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে তাদের জন্য যারা তৈলাক্ত ত্বকস্কিন অয়েল সমস্যায় ভুগছেন এবং তৈলাক্ত ত্বক থেকে কিভাবে ফর্সা হবে। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি অনেক কিছুই জানতে পারবেন। 


তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়,তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়,তৈলাক্ত ত্বক দূর করার উপায়,তৈলাক্ত ত্বক,তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তির উপায়,তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াস,তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন,ত্বক ফর্সা করার উপায়,ফর্সা ত্বক,তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্রিম,কালো ত্বক ফর্সা করার উপায়,ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার ক্রিম,ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন,তৈলাক্ত ত্বক দ্রুত ফর্সা করার উপায়,ত্বক ফর্সা করার উপায়,ত্বক ফর্সা করার উপায় কি,কালো ত্বক ফর্সা করার উপায়,মুখের ত্বক ফর্সা করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়।


প্রতিটি মানুষেরই তার সৌন্দর্যের জায়গা হচ্ছে তার ত্বক, আর কে বা না চায়  ্বক তার ত্বক সুন্দর ও মুসলিম থাকো। তাই তাদের জন্যই আজকে আমার একটি টিপস এন্ড ট্রিক যে কিভাবে তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করবে। তাহলে চলুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আমরা জেনে নেই। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের এই সমস্যাটা বেশিরভাগ গরমকালেই দেখা যায়। অনেকে আছে ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো ফেস তেল তেলে হয়ে যায়, আবার কারো নাকের গড়ায়ও তেল জমে আর এই তেল যদি ত্বকে নিয়মিত জমে তাহলে এক পর্যায়ে তোকে, ব্রণ পিম্পল, এলার্জি সহ এরকম বিভিন্ন স্পট পড়ে।   

দূর করার উপায়-

তৈলাক্ত তার দূর করার উপায় এর প্রথম একটি ধাপ হচ্ছে নিয়মিত ফ্রেশ পানি দিয়ে ত্বক ও মুখ ভালোভাবে ধোয়া। তারপরে বেশি করে পানি খাওয়া বেশি করে পানি খেলে যদি হরমোনালি সমস্যা থাকে সেটা অনেকটা কন্ট্রোলে আসে। আর বাইরে থেকে এসে অবশ্যই আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কারণ  ত্বকে বাইরে থাকা ধুলোবালি ত্বকে লেগে থাকে।

আর এই সব ধুলোবালি থেকেই স্কিনে তেল জমে। তাই বাহির থেকে এসে অবশ্যই আপনার ত্বক সুন্দর করে  ধুয়ে ফেলে ফেলবেন অথবা আপনার  যে সাবান ইউজ করেন সেটা দিয়ে দিনে তিনবার আপনার ত্বক ধুয়ে নিবেন। আমরা অনেকেই আছি যে ঘুমানোর আগে আমরা মুখ ধুয়ে নেই না। তাই আমাদের সবারই উচিত ঘুম থেকে উঠে যেমন ত্বক সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলা ঠিক ঘুমানোর আগেও উচিত আপনার ত্বককে সুন্দরভাবে অথবা সাবান দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে। এর ফলে আপনার মুখে কোন জীবাণু থাকে না আর আপনার ত্বককে তৈলক্ত মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। 

ফর্সা হওয়ার উপায় -

যারা তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করতে চান তারা নিয়মিত আপনার মুখ ভালো করে ধুবেন।এবং চালের গুড়া, মধু, কাঁচা হলুদ, কিছু পরিমাণ এলোভেরা জেল এগুলো আপনি মিক্স করে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিবেন। এই ঘরে বানানো ফেস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ভালোভাবে 10 থেকে 12 মিনিটের মতো মাসাজ করে নিবেন। আপনি যখন এই প্যাকটি আপনার ত্বকে এপ্লাই করে ম্যাসাজ করবেন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন যে চালের গুড়ার সাথে কি পরিমান তেল আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছি।

 সম্পূর্ণ মাসাজ করা হয়ে গেলে একটি কিশোর মাধ্যমে সেগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলবেন। পানি ব্যবহার করবেন না ও পানি দিয়ে ধুবেন না। তারপরে বাকি যেটুকু চালের গুড়ার ফেসপ্যাক আছে সেটুকু আপনি একটা ফেসিয়াল ব্রাশ অথবা হাত দিয়ে আপনার ত্বকে অথবা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবেন। যখন দেখবেন যে চালের গুড়া টি শুকিয়ে এসেছে আপনার স্কিনের। তখন খুবই সাবধানতা অবলম্বন করে আস্তে আস্তে ধুয়ে ফেলবে। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন মুখ ধোয়ার সময় যেন স্কিনে টান না লাগে।

আগে আপনার মুখে লাগানোর ফেসপ্যাকটিভ ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন, তারপরে তা আস্তে আস্তে দুই হাত দিয়ে  ভালোভাবে ডলে ডোলে  ধুয়ে ফেলবেন।এরকম সবটাই একবার হলেও এই কাজটি করবেন। আর ধোয়ার পর অবশ্যই আপনার ত্বকে ঠান্ডা পানি অথবা বরফ ব্যবহার করবেন। আর আপনার স্কিনে যদি কোন নাইট ক্রিম শুট করে আপনি চাইলে সেই নাইট ক্রিমটাও ব্যবহার করতে পারেন তবে নাইট ক্রিম তৈলাকের জন্য ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দেখবেন আর খেয়াল রাখবেন যে আপনার অ্যালার্জিজনিত সমস্যা আছে কিনা। 

 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়। 


তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে হলে প্রথমে আপনার বেশি করে পানি খেতে হবে। আর নিয়মিত ঘুমাতে হবে। আমরা অনেকেই ব্রণ ওঠার কারণ না জেনেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। তাই যারা আমরা এই ভুলটা করি তাদেরকে আমি প্রথমেই বলব যে তৈলক তো তখন ওঠে এর প্রধান কারণ থাকে রাত জাগা ও পানি কম খাওয়া। তাই প্রথমে আপনার ঘুমকে নিয়মিত করবেন।

 আর প্রচুর পরিমাণে পানি খাবে। রাতে ব্রাশ করে ঘুমানোর পর ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের যে লালাটা থাকে এই লালাটা এনটিভিটিক এর মত ব্রণের ক্ষেত্রে কাজ করে। তাই ঘুম থেকে উঠেই লাগাটা আপনার ব্রণ যে জায়গায় সেখানে লাগিয়ে নিবেন। আর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুগ্ধ বেন। সাধারণ ক্রিম ব্যবহার করবেন না। কারণ কেমিক্যাল ক্রিম ব্যবহার করলে অনেকের ক্ষেত্রে ব্রণ আরো বেড়ে যায় এবং বিপরীত ঘটে।

আপনি যদি পারেন আপনার গ্রহণের জন্য ভালো ব্রান্ডের নাইট ক্রিম ব্যবহার করবেন।আগে দেখবেন সেটা আপনার সাথে যায় কিনা। গরমকালে দিনে চার থেকে ছয় বার অন্তত ঠান্ডা পানি দিয়ে মুগ ধুবেন অথবা বরফের টুকরা সুতির কাপড়ে পেঁচিয়ে আপনার ত্বকে লাগাবেন। এরকম করলে দেখবেন আপনার তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে গেছে। 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন। 


তৈলক তো ত্বকের জন্য বেশি বেশি করে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ও ত্বক ধুবেন। ধুলোবালি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই খেয়ে যাস অথবা সাবান দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ঘুমাবেন। এবং বেশি পরিমাণে পানি খাবেন ও শপে ফলমূল খাবেন শাকসবজি সহ। 

তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াস। 


তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যেসব ব্যবহার করবেন সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • ক্যারেক্স  সেলিসাইলিক আসিড ডেইলি জেন্টাল ক্লিনজার। 

  • নিউট্রোজিন ক্লিয়ার এন্ড সুদ মুজ ক্লিনার। 

  • নিউট্রোজিন অয়েল ফ্রি একনে ওয়াশ 

উপরিক্ত যে ফেসওয়াশগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে এইসব ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে একটি নয়েল ও তৈলাক্ত ত ্বক ফর্সা করা যায় ও কমানো যায়। তবে আপনারা আমার এই কথার উপরে ডিপেন্ড করে এগুলো ব্যবহার করবেন। আপনি যদি বোঝেন আপনার স্কিনের যে কমিশন তাতে এগুলো ইউজ করা যায় তাহলে এগুলো আপনি ইউজ করবে। এটা সম্পূর্ণ আপনার ত্বকের কন্ডিশনের উপরেই ডিপেন্ড করবে। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্রিম। 


তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আপনি নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যদি আপনি এই ধরনের নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে সেটা ভালো ব্র্যান্ডেরটা ব্যবহার করবেন। কারন বাজারে অনেক লোকাল ব্র্যান্ডের নাইট ক্রিম পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করার সাথে সাথেই অনেকেই ভালো ফলাফল পায়। এবং তার কিছুদিন পর তার সাইড এফেক্ট দেখা যায়। তাই অবশ্যই নাইট ক্রিম নেয়ার আগে ভালো ব্রান্ডের নাইট ক্রিম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কারণ ত্বক এমন একটা জিনিস যেটা প্রতিটি মানুষেরই সৌন্দর্যের জায়গা।

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্রিম, তৈলকে ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ, তৈলাক থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়। তাই আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে সেটা যদি অনুসরণ করেন তাহলে আশা করি অবশ্যই আপনি তৈলাক্ত ত থেকে মুক্তি পাবেন। ইনশাআল্লাহ- 

 




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url