নাকে পলিপাস কেন হয়

প্রিয় পাঠক নাকের পলিপাস  কেন হয় আজকের প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। অনেকের ধারণা রয়েছে নাকের পলিপাস  হয়েছে তো চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হতে হবে । অনেকের বিশ্বাস নাকে পলিপাস হয়ে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে তাই। সত্যিকার অর্থে নাকের পলিপাস  কি আসুন এ বিষয়ে জেনে নেই। 


নাকে পলিপাস কেন হয়


নাকের পলিপাস  বলতে কিছুই নেই "টারবিনেট" নামক একটা মাংসপিণ্ড। অর্থাৎ  নাকের ভিতর একটি অংশ যা সবারই থাকে এবং লালচে রঙের হয়ে থাকে ।  এটি কারো ক্ষেত্রে বড় আকার ও ছোট আকার ধারণ করে থাকে।


সর্দি ,কাশি বা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগানোর  ফলে নাকের ভিতর এক ধরনের স্বচ্ছ আঙ্গুরের থোকার মতো  মাংসের অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে। সাধারণত আমরা এটিকেই নাকের পলিপাস বলে থাকি। 


নাকের ভিতর এই অংশটি দেয়ালের  সাথে মিশে থাকে। এ সমস্যার কারণে চিকিৎসকের কোন প্রয়োজন নেই।






আমাদের মনের  ভিতর যে কাজটি করে থাকে নাকের পলিপাস থেকে ক্যান্সার হতে পারে।  মূলত এরকম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি সাধারণত দেখা দেয় অতিরিক্ত বা ঘন ঘন ঠান্ডা, সর্দি ও এলার্জির কারণে। কখনো কখনো ইনফেকশন হয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা না করার ফলে নাকের পলিপাস  হতে পারে।



নাকে পলিপাস হলে  নাক বন্ধ হয়ে যাবে, নাক দিয়ে সর্দি ঝরতে থাকে, কথা বলার সময় কথা নাকে বাধাগ্রস্ত হয়, মাথাব্যথা হয় সাথে নাক- মুখ ভার হয়ে থাকে, শ্বাস করতে কষ্ট হয় মুখ হা করে শ্বাস নিতে হয়। 


নাকের পলিপাস প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়লে ওষুধ খেলেই সেরে যায়।  স্টেরয়েড কিছু  জাতীয় নাকের রয়েছে যেমন:ফ্লুটিকা,এভামিস, ফ্লুনাস্প্রে,  ইত্যাদি। প্রতিদিন দুইবার করে  নাকের ছিদ্রে ব্যবহার করতে হবে। স্প্রে পরিবর্তে অ্যান্টি সিস্টেম জাতীয় ওষুধ সেবন করলে সমস্যা দূর হতে পারে।ওষুধগুলো হল এন্টিহিস্টামিন জাতীয় যেমনঃ ফেক্সো, রুপা ইত্যাদি। অনেকদিন যাবত চিকিৎসা নিতে হয়।
 


ওষুধ খাওয়ার পরেও নিয়ন্ত্রণ না হলে অথবা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গেলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক যদি মনে করেন অশ্ৰোপচার করতে হবে তাহলে আপনাকে অবশ্যই করতে হবে। বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।এন্ডোসকপি টেকনোলজির মাধ্যমে খুব সহজেই নাকের পলিপাস সুন্দরভাবে ও সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।   



নাকের পলিপাস এর চিকিৎসা


নাকের পলিপাসের  জন্য বিভিন্ন ধরনের স্প্রে , ওষুধ রয়েছে।  তবে স্প্রে ওষুধ ব্যবহার ও সেবনের পরেও যদি না কমে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অপারেশন করতে হবে।



নাকের পলিপাস হোমিও চিকিৎসা


মানব দেহের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে নাক ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেকে অপরেশন করতে ভয় পায় নাকের পলিপাসের জন্য। এ সমস্যাটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি দেখা দেয়। নাকের পলিপাস  পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে রোগ সনাক্তকরণ করে অপারেশন ছাড়াই হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে নাকের পলিপাসের  যন্ত্রণা থেকে অতি সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 


একটি বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল পলিপাসের রুগীকে অবশ্যই এলার্জি জাতীয় খাবার ,ঠান্ডাও ধুলাবালু থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে। যথাযথ সময়ে নাকের পলিপাসের চিকিৎসা  না করা হলে ইনফেকশন হয়ে পরবর্তীতে এজমা রোগ দেখা দিতে পারে।

   

প্রিয় পাঠক নাকের পলিপাসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জন্য এখানে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

ডা. এস এম আব্দুল আজিজ

সেক্রেটারি : আইডিয়াল ডক্টর্স ফোরাম অব হোমিওপ্যাথি, আল-আজিজ হেলথ সেন্টার

৫৩ পুরানা পল্টন, বায়তুল আবেদ, ঢাকা, মোবাইল : ০১৭১০২৯৮২৮৭, ০১৯১১০২০৬৬৪




নাকের পলিপাস এর ঘরোয়া চিকিৎসা


নাকের পলিপাস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে ইটময়রেল ও মেক্সিলারি এন্ট্রোকনাল পলিপ। এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করতে  পারেন।

 

হলুদ 

হলুদ নাকের পলিপাসের সমস্যার সমাধান দূর করতে পারে। কারণ হলুদের রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি  উপাদান। যা মানব শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাচায়। এর পাশাপাশি এলার্জি সমস্যা দূর করে। এক থেকে দুই চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে  খাবেন প্রতিদিনের খাবারের সাথে। ফুটন্ত পানিতে হলুদের গুড়া ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। অথবা হলুদের চাও পান করতে পারেন। 



রসুন

রসুন পাকিস্থলির  কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। শরীরের যেকোনো প্রদাহ  ও নাকের পলিপাসের সমস্যায় বেশ কার্যকরী। গরম পানির সাথে রসুনের গুঁড়া  মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। এছাড়াও কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।


আদা

হলুদ, রসুনের মত আদা ও নাকের পলিপাসের  জন্য বেশ কার্যকরী।  ২০১৩ এর এস এ এর গবেষণায় জানা যায় যে আদায় রয়েছে এন্টিম্যাক্রোবিয়াল ও সংক্রমণ বিরোধী উপাদান। প্রতিদিন আদার চা বানিয়ে পান করুন। এছাড়াও রান্নার সাথে আদারগুড়া ব্যবহার করুন। এরফলে নাকের পলিপাসের  সমস্যা দূর হতে পারে।  


শেষ কথা

নাকের পলিপাস  হলে  তেমন চিন্তার কারণ নেই।  প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ওষুধসেবন  ও স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে সেরে ওঠে।  তবে দীর্ঘদিন হয়ে থাকলে তাহলে অস্ত্রপ্রচার করা লাগতে পারে।  এছাড়াও  অন্যান্য সব তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন অথবা নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন।  ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url