এনজিওগ্রাম করতে কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে এনজিও গ্রামের নতুন কিছু তথ্য নিয়ে  হাজির হলাম। এনজিওগ্রাম করতে কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ? এনজিও প্লাস্টির পর ঘুম কেমন হয়? সিটি এনজিওগ্রাম করতে কতদিন লাগে। প্রিয় পাঠক আর দেরি না করে এবার এসব বিষয়ের  বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।



এনজিওগ্রাম করতে কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়


এনজিওগ্রাম করতে আপনাকে অবশ্যই সরকারি বা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে । বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অনেক হাসপাতালে এনজিও গ্রামের পরীক্ষা করানো হয়। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রাইভেট হসপিটাল ও সরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করানো হয়।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস (এনআইসিভিডি)  এই বিশেষারিত বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালটিতে  হার্ট  এর সার্জারি, কার্ডিওলজি এবং ভাস্কুলার সার্জারি সহ কার্ডিও ভাস্কুলার রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।



এই হাসপাতালের আপনার পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে এনজিওগ্রামের খরচ পরিবর্তন হতে পারে। কারণ এনজিওগ্রামের বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা রয়েছে। মূলত তার উপর ভিত্তি করেই মোট খরচ হিসেব করতে হয়। এছাড়াও নির্দিষ্ট ধরনের এনজিওগ্রাম, নাগরিক এর উপর  ভিত্তি করেওফি  নেয়া হয়। যেমন: রোগী বাংলাদেশী নাগরিক নাকি বিদেশি নাগরিক।




আপনি এনজিওগ্রাম করতে পারবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। এই হাসপাতালটিতে আপনারা বেশ কম খরচে  সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা সেবা  গ্রহণ করতে পারেন।


এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগ, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, এনজিওগ্রাফি, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির মত টেস্ট করানো হয়।


এছাড়াও ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিও গ্রাম করানো হয়। এর পাশাপাশি চট্টগ্রামের ভেতর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষাগুলো করানো হয়।



দেশের বড় বড় সিটিতে বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে বর্তমান সময়ে এনজিওগ্রাম করা  হয়ে থাকে। এদের পাশাপাশি দেশের বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকটি হাসপাতালের নাম হলো স্কয়ার হাসপাতাল, এভার কেয়ার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, এ ছাড়াও অন্যান্য হাসপাতাল থেকেও আপনি এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করে নিতে পারেন।



এনজিও গ্রামের খরচ হাসপাতালের পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে খরচের পরিবর্তন অনেক বেশি বা কম হতে পারে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে টাকার পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।এনজিওগ্রাম করতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে খরচের পরিমাণ হতে পারে ৫০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত।



অপরদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের পরীক্ষা - নিরীক্ষার খরচ সরকারি  হাসপাতালের  খরচের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে।এ ধরনের হাসপাতালে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও  সুযোগ-সুবিধার উপর ভিত্তি করে ভিত্তি করে খরচ হতে পারে কোন ১৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।



প্রিয় পাঠকগণ এনজিওগ্রামসহ, এনজিও গ্রামের সাথে সম্পর্কিত ও অন্যান্য সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পূর্বে অবশ্যই সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারিভাবে সরকারি হাসপাতাল ও  বেসরকারিভাবে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে খরচের পরিমাণটা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারেন। 



কেননা পুরো  ফি এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ফি সহ, ওষুধ, ফলোআপ ও যত্ন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রদান করায় তার ফি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও আরো সহজে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন যেসব হাসপাতালে আপনি ভর্তি করতে চান সে সকল হাসপাতালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বা তাদের গ্রাহকপরিষেবা হট লাইনে কল করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।



 

এনজিওপ্লাস্টির পর ঘুম কেমন হয়


এনজিও প্লাস্টির পর ঘুম কেমন  হবে সেটি নির্ভর করে সাধারন ঘুমের মতোই আপনার অভ্যাসের উপর। এনজিওপ্লাস্টির পর ঘুমের উপর তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না। আর যদি প্রভাব পড়ে থাকে তাতে তেমন কোন সমস্যা হয় না। 



হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে হলে কয়েকটি সহজ কাজ মেনে চলতে হবে। হৃদপিন্ড ভালো রাখার উপায় খুবই সহজ। এ কাজটি খুব সহজ হলেও মেনে চলাটা আসলে একটুখানি কঠিন। পর্যাপ্ত না ঘুমানো বা ঘুমের অভাব, রুটিনঠিক না থাকা, অসময়ে খাওয়া দাওয়া করা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া, এসমস্ত চিন্তা ও কুঅভ্যাসের কারণে আমরা হৃদয়ের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে ফেলি। তবে অনেক ধরনের চিন্তা ও কুঁ  অভ্যাসের বাইরেও বংশগতভাবেও হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে। 



এবার আলোচনা করব আপনাদের সাথে হৃদপিন্ডের সমস্যা দেখা দিলে কি করনীয়। সর্বপ্রথম হৃদপিন্ডের যত্ন নিতে হবে। এখন কথা হল যাদের ইতোমধ্যে এনজিওপ্লাস্টির  সমস্যা হয়েছে তাদের জন্য কি করনীয়। তাদের জন্য নতুন করে হৃদপিন্ডের  যত্ন নিতে হবে। কারণ এই সময়ে আপনার হৃদয়ে আরো বেশি সংবেদনশীল আচরণ করতে পারে।



এ সময় মসলাযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করতে হবে এবং ডায়েটের দিক বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কি অবস্থা হয় গায়েব চাটে যে সকল খাবারের নাম রাখবেন তার নাম বলে দিচ্ছি সেদ্ধ চাল,  আটা, ডালিয়া, বিনস, মটরশুঁটি লেটুস ডায়েটে রাখতে হবে অবশ্যই। 


 


সিটি এনজিওগ্রাম করতে কতদিন লাগে


রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে এবং প্রসিডিউর কতখানি জটিল বা কতখানি সোজা সাপ্টা হবে তার উপর নির্ভর করে সব সময় সহজ হয় না এজন্য সময় কম বা বেশি লাগতে পারে সর্বোচ্চ সময় এক  ঘন্টা লাগতে পারে। আর স্ক্যানিং করতে মূলত ৫ সেকেন্ডের মত সময় লাগে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url