সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়

প্রিয় ভিউয়ার্স আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সিজারের সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে আলোচনা করা হবে।বিষয়টি হলো সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায় এছাড়াও সিজারের অন্যসবতথ্য সম্পর্কে। বিষয়গুলো জানা আপনাদের জন্য খুবই জরুরী।না জেনে থাকেন তাহলে সিজারের পরে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।



সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়

যেসব নারীরা সিজার করেছে বা সামনে করানো লাগতে পারে এরকম চিন্তা ভাবনা করতেছেন তাদের উভয়েরই জানা উচিত সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়। কারণ আমাদের কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া পড়তে  পারে। প্রয়োজনের জন্য একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা হয়ে থাকে। কখনো কখনো অনেকের ক্ষেত্রে দেশের বাইরে যাওয়ারও প্রয়োজন হয়ে থাকে।


কতদিন পর জার্নি  করা যায় এ ধরনের প্রশ্ন অনেক সিজারিয়ান নারীদের ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকতে পারে বা সামনে যারা সিজার করাবেন তাদের ক্ষেত্রে একই প্রশ্ন জাগতে পারে। মূলত এরকম বিষয়গুলো বেশিরভাগ নির্ভর করে আপনার শারীরিক সুস্থতা বা শরীরের ক্ষত সারিয়ে উঠতে কত সময় লাগতে পারে এর উপর। অনেকের ১ থেকে ১.৫মাসের ভিতর সুস্থ হয়ে যায় বা ক্ষত সেরে ওঠে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এর বেশি সময় লাগে।



তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা যে পরামর্শ দিয়ে থাকে সেটি হল অন্ততপক্ষে তিন মাস কোন প্রকার লং  জার্নি করা যাবে না।আবার আপনি যদি সঠিকভাবে সিজারে পর দিক নির্দেশনা মেনে চলে সিজার অপারেশন এর ক্ষত যত দ্রুত সেরে উঠতে পারেন। এক্ষেত্রে এক থেকে দুই মাসের পরে ছোটখাটো জার্নিগুলো করতে পারেন।


সিজারের জায়গা বা অপারেশনের পর কাটা স্থানটি ভালোভাবে যদি না শুকিয়ে থাকে তাহলে জার্নি করা একটি ঝুঁকি।  কারণ গাড়ির ঝাঁকুনিতে অথবা যখন গাড়ি জোরে  ব্রেক করবে তখন শরীরে যে ধাক্কা লাগলে আপনার পেটে অতিরিক্ত ব্যথা সৃষ্ট হতে পারে বা কাঁটা স্থানে জামাকাপড়ের ঘষা লাগতে পারে পরবর্তীতে ঘা শুকাতে আরো দেরি হতে পারে।


সিজার করার পরে অন্ততপক্ষে তিন মাস পর পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পরে জার্নিগুলো করা ভালো। প্রিয় বিভাগ আশা করছি আপনাদের অতি কৌতুহলী প্রশ্নটি উত্তর দিতে পেরেছি। একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন এর পাশাপাশি সিজারের পর তিন মাসের পূর্বে জার্নি করা মা এবং সন্তান দুজনের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।


সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়


আপনার যদি কসমেটিক সার্জারি বা কসমেটিক সেলাই করা নয় তাহলে দুই থেকে চারদিন পর গোসল করাতে পারবেন। আর এছাড়া অন্য সার্জারি করা হলে ১০ থেকে ১৫ দিন পর গোসল করবেন।কারণ স্বাভাবিক সেলাইয়ের পর যদি আপনি গোসল করে থাকেন সেখানে ইনফেকশন হতে পারে ইনফেকশন করে ঘা হতে পারে এজন্য ঘা শুকানো না পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ দিন অপেক্ষা করুন তারপর গোসল করুন। গোসল করার কিছু নিয়মাবলী বলে দেওয়া হলো সেগুলো অনুসরণ করবেন 


১.গোসল করার সময়ে সেলাই এর জায়গায় বেশি ঘষামাজা ও আঘাত লাগে এবং কাজ করা যাবে না। গোসলের পরে শুকনো কাপড় বা টাওয়াল দিয়ে হালকাভাবে পানি মুছে নিবেন। 


২.ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন না হালকা কুসুম পরম গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। এতে জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে এবং আপনার জন্য আরামদায়ক হবে। 


৩.যে পাত্রটিতে গোসল করবেন গোসলের পূর্বে সে পাত্রটি পরিষ্কার করে রাখতে হবে। পাত্রটি পরিষ্কার নিজে করতে যাবেন না পরিবার ও অন্যান্য সদস্য থাকলে তাদের দ্বারা প্রয়োজনীয় কাজগুলো করিয়ে নিবেন।



সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়


মা যদি সন্তানকে বুকের দুধ দুধ খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য খাবার ফলমূল খাওয়ায় তাহলে সিজার করানোর পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ পর মাসিক হতে পারে। আর মা যদি শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ায় তাহলে শিশুকে অন্যান্য খাবার দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মাসিক হবে না।



যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনের সূত্রেরমাধ্যমে আরো কিছু তথ্য তুলে ধরব। সবার যে এই সময়সীমা লাগবে তেমন নয়। সন্তান প্রসবের পর কত দিনের মধ্যে মাসিক হবে বিষয়টা তেমন নয়। বিষয়টি হলো মায়ের উপর নির্ভর করে। মা সন্তানকে কিভাবে ব্রেস্ট ফিডিং করা হচ্ছে তার উপর।অনেকের ক্ষেত্রে সময়-সময়সীমা  আরো বাড়তে পারে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মাসিক হতে পারে।



মা যদি রাতে দুই বা তার বেশি বার দুধ পান করায় তাহলে ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত মাসিক না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।  কারো ক্ষেত্রে সময়সীমা আরো বৃদ্ধি পেয়ে১৮মাস থেকে ২বছর হয়ে থাকে।এটি মূলত হয়ে থাকে কন্ট্রাসেপশনটার  উপর।  প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 




 

সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায়

যাদের সিজারের পর পেটের দাগ নিয়ে চিন্তা তাদের জন্য কসমেটিক সার্জারি করানোই ভালো। এছাড়াও কিছু ঘরও উপায় রয়েছে যেমন লেবুর রস, এলোভেরা, গ্রিন টি  ব্যাগ গরম করে ব্যবহার, আলুর রস বিলিজ করা, অ্যালোভেরা জেল, ভিটামিন ই অয়েল ইত্যাদি। 



সিজারের পর পেট কমানোর উপায়


পেট কমানোর জন্য বেল্ট ব্যবহারের বিকল্প নেই। যতই বিরক্ত লাগুক না কেন ঘুমানোর পূর্ব পর্যন্ত বেল্ট খুলবেন না।বেল্ট ব্যবহারের ফলে পেটের মেদ বাড়বে না।



শেষ কথা

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি উপরের তথ্যগুলো থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।এরকম আরো অন্যান্য সব তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন এবং ইউনিক কোন তথ্য জানতে নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url