বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ও বড় চক্ষু হাসপাতাল কোনটি
মানব শরীরের যতগুলো অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ হলো চোখ।গেইমিং আসক্ত তার কারণে ,অনিচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা বশত চোখে অনেক সমস্যা দেখা দেয়।এজন্য উন্নত চিকিৎসা করা প্রয়োজন।কিন্তু আমরা জানি না আমাদের চোখের চিকিৎসা কোথায় করালে চোখ ভালো হবে।
আমরা এখানে সেখানে চোখের চিকিৎসা করিয়ে চোখ দিন আর দিন অকার্যকর হিসেবে পরিণত করছি।আর নয় এরকম ক্ষতি।তাই আজকে বেসিক ভাইয়ের পক্ষ থেকে কোন হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করালে চোখ ভালো হয়।সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ভালো চক্ষু হাসপাতাল কোনটি ?চলুন আর দেরি না করে এবার শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চক্ষু হাসপাতাল কোনটি
মানব শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়অঙ্গ হলো চোখ। যার চোখ নাই বা চোখে সমস্যা তারাই বোঝে কষ্ট কত। চোখ না থাকলে এই পৃথিবী দেখা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলের উচিত চোখের যত্ন করা এবং নিয়মিত চেকআপ করা প্রয়োজন।
চোখে হালকা সমস্যা হলে আমরা তেমন একটা গুরুত্ব দেই না যার ফলে পরবর্তীতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আর নয় সে রকম ভুল সবাই আমরা হয় সচেতন। আবার কেউ কেউ চোখের সমস্যার জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা করানোর জন্য সেরা হাসপাতাল খুঁজে থাকে তারা জানে না যে বাংলাদেশের মধ্যে সেরা চক্ষু হাসপাতাল কোনটি?
ভালোচক্ষু হাসপাতাল খোঁজ নেওয়ার পূর্বে কয়েকটি বিষয় পরিলক্ষিত করা উচিত। আমরা জানি যে আপনারা বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজন পরিবারের কাছ থেকে রেফারেন্স খুঁজে থাকেন যে কোন হাসপাতালটি ভালো। এমন অবস্থায় চিকিৎসার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জেনে নিবেন।
প্রথমত ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানবেন। এছাড়াও রয়েছে ইন- পেসেন্ট পরিষেবা, বিশেষত্ব, জরুরি সেবা, এক্সেস, যোগ্যতা, হাসপাতালের সুনাম, পরিষেবার খরচ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অলাভজনক ও জনকল্যাণমূলক গণপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল একটি। যেকোনো বয়সী ও চক্ষু রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের চোখের চিকিৎসায় ও পুনর্বাসনের প্রতিনিয়ত নিয়োজিত। এর পাশাপাশি আরো প্রমাণ করেছে যে অন্ধত্বের অনতিক্রমনীয় নিয়েও বাধার বিরুদ্ধে জয়ী প্রতিষ্ঠানটি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের চক্ষু পরিষেবার দিক থেকে অনেকে এগিয়ে। এটি বাংলাদেশের বর্তমানের সবচেয়ে বড় ও ভালো চক্ষু হাসপাতাল।
একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ চক্ষুবিদদের মাধ্যমে এই হাসপাতালটিতে সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও চক্ষুবিদদের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম চক্ষু ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা। প্রতিষ্ঠানটি অধিকন্তু ২৫০ শয্যার। চক্ষু ইনস্টিটিউটেতে রয়েছে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মানের একটি সর্বাধুনিক চিকিৎসা অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসকগণ। এছাড়াও এখানে চিকিৎসা পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে।
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটির তিনটি ভবনেই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয় ব্লক এ,বি ও সি ভবনেএছাড়াও আরো সেবা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নিচ তলায় জরুরি বিভাগ এবং আই সি ইউ, ব্লাড ব্যাংক, অপারেশন থিয়েটার ব্লক বি এর চতুর্থ তলায় বিদ্যমান।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য কি
এই প্রতিষ্ঠানটির একটি লক্ষ্য সেটি হলো সমাজের সর্ব স্তরের জনগণের জন্য বিনামূল্যে সর্বাধুনিকতম উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চক্ষু পরিচর্চা ও সেবার একটি মানদন্ড ও বর্তমানে দৃষ্টান্ত স্থাপন।প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত চিকিৎসকগণ ও কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ রোগীদের সামগ্রিক সন্তুষ্টির জন্য সর্বাত্মকভাবে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়।
এছাড়াও প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগীর ধারাবাহিক তালিম প্রদান করা এবং হাসপাতালের সেবা দানকারী উভয়ের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি কোথায় অবস্থিত
আপনারা অনেকেই জানেন না জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালটি কোথায় অবস্থিত, আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্যই। মিরপুর রোডের শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু মেলার পূর্ব-উত্তর কোনে এই হাসপাতালটি।
ঠিকানা ও যোগাযোগ
শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২১৭
ফোন- ০২- ৯১১৮৩৩৬, ৮১১৪৮০৭
ফ্যাক্স- ৮৮-০২- ৮১১৭২০২
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার উপায়
১০ টাকার টিকিটে মিলছে চোখের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটিতে।এছাড়া আরো মজার ব্যাপার হলো বেসরকারি হাসপাতালে যেসব অপারেশনে লাগে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা সেখানে তা হচ্ছে বিনামূল্যে।
আরো যেসব সুবিধা রয়েছে তার শুনুন আপনি অবাক হয়ে যাবেন অপারেশন তো থাকছে বিনামূল্যে তার পাশাপাশি রোগীদের সব ওষুধ ফ্রি দেওয়া হয়। এখানে ১২ টি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে সেখানে সাত ধরনের অপারেশন হয়। চোখের পানি সহ এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮০ টি অপারেশন করা হয়।
হাসপাতালটির বহির্বিবিভাগে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার এর বেশি রুগী আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে। জরুরী বিভাগ খোলা থাকে ২৪ ঘন্টা। হাসপাতালটিতে চালু রয়েছে নয়টি বিভাগ। সেগুলোর নাম হল: ক্যাটারাক্ট, কর্নিয়া, গ্লুকোমা, রেটিনা, অকুলোপ্লাস্টিক, পেডিয়াট্রিক অপথোমোলজি, নিউরো অপথোমোলজি, কমিউনিটি অপথোমোলজি ও লোভিশন।ভিতরে একটি সুন্দর ক্যান্টিনে রয়েছে।
চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে
এখানে ১০ টাকা টিকিট কাটলে রোগের দায়িত্ব শেষ বাকি সব চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে হাসপাতাল থেকে। এখানে কোন কোন অপারেশনের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা মূল্যের ইনজেকশনফ্রিতে দেওয়া হয়। এই হাসপাতালে যতগুলো ডাক্তার রয়েছে তারা প্রত্যেকে ই চক্ষু বিশেষজ্ঞ।
এখানে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিবর্গের জন্য ও সিনিয়র সিটিজেন, মুক্তিযোদ্ধা ও অটিস্টিকদের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ রয়েছে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালটি খোলার সময় কখন
এখানে 24 ঘন্টা জরুরি বিভাগ খোলা থাকে শুধুমাত্র যেকোনো সরকারি বন্ধ ছাড়া। আর প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এখানে রোগীদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পদ্ধতি রয়েছে। রক্ত পরীক্ষা,এখানে এক্সরে, প্রস্রাব, ইসিজি, সিটিস্ক্যান ও আলট্রাসনোগ্রামসহ সব ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।