ব্রেস্ট থেকে পুঁজ বের হওয়ার কারণ

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি একটি জন সচেতন মূলক পোস্ট। এই পোস্টটি মা ও বোনদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। অনেক নারীদের ব্রেস্ট সমস্যা রয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো নারীদের ব্রেস্ট থেকে পুঁজ বের হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণআর্টিকেল। তাই আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণভাবে পড়বেন।  চলুন আর দেরি না করে এবার শুরু করা যাক।



ব্রেস্ট থেকে পুঁজ বের হওয়ার কারণ 


ব্রেস্ট বা স্তন একটি বিশেষ ধরনের ঘাম গ্রন্থি।এটি তৈরি কোটি কোটি ক্ষুদ্র কোষ নিয়ে।কোষ গুলোর ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে চর্বি একটি সুবিন্যস্ত পদ্ধতির লসিকার  সাহায্যে  টিস্যু, এছাড়াও ফাইব্রাশ ইত্যাদি।



শারীরিক গঠন, বয়স ,সামাজিক স্তর ,সন্তান সংখ্যা ও স্তন্যদান স্তনের গঠনের উপর প্রভাব পড়ে ব্রেস্ট বা স্তনের।যেসব রোগ সম্পর্কে বেশি আলোচনা করা হয় তার বেশিরভাগ জুড়ে থাকে ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন  ক্যান্সার।  বর্তমান সময়ে ব্রেস্ট রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।


বেশি করে এ ব্যাপারে প্রচারণা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মহিলারা পূর্বের তুলনায় অধিক সচেতন হয়েছেন এবং অন্যকেও সচেতনতা হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন। এর ফলে যে লাভ হয়েছে সেটি হল ব্রেস্টের যেকোনো ধরনের সমস্যাকে তারা অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক দিকেই গুরুত্ব সহকারে নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করেন না।অনেকেই এই গুরুত্ব তার সাথে সাথে ভাবতে থাকেন যে ব্রেস্টের সমস্যা হয়েছে বলতে ক্যান্সার হয়েছে  আসলে বিষয়টি তেমন না।





এছাড়াও ব্রেস্টের বা স্তনের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে প্রায়ই নারীদের সেগুলো ক্যান্সার নয়। যথা  সময়ে সঠিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে সুরক্ষ থাকা যায়।যেসব নারীরা শিশুকে সঠিক সময়ে বা সঠিক নিয়মে ব্রেস্টের দুগ্ধ পানীয়ই  দান বা স্তন দান করেন না কিংবা পরিছন্নতা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় বোধ করেন না তাদের ব্রেস্টের বোটা ফেটে যেতে পারে। এমতঅবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অনেক সময় প্রদাহ সৃষ্টি হয় ব্রেস্ট  বা স্তনে। 



এই অবস্থায়  প্রয়োজনীয় পদক্ষেপপ গ্রহন না করলে অনেক সময় এ পর্যায়ে থেকে ব্রেস্টের  বোটা থেকে নানান ধরনের তরল নির্গত বা বের হয়। তা দেখতে কখনো কখনো পরিষ্কার পানির মত, আবার কখনো কখনো রক্ত মিশ্রিত ,আবার কখনো কালো বা গারো রঙের তরল বের হয় যেটিকে আমরা পুঁজ  বলে থাকি। অন্যান্য সব রোগ থেকে এটি হতে পারে।

 


এছাড়াও ব্রেস্টে বা  স্তন  চাকা আকৃতি ধারণ করে বা পিন্ডি হয়ে ফুলে ওঠে এতে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকাও অস্বাভাবিক নয়। অনেকের ধারণা এগুলো সব সময় শুধু ক্যান্সার  থেকেই হয় আসলে বিষয়টি তা নয়।  অন্যান্য সব কারণ হতে পারে এজন্য সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার দেওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করার সঠিক চিকিৎসা করানো উচিত। 



চাকা বা পিণ্ড টিউমার কারণে হয় বিষয়টি তেমন না আঘাত জনিত কারণেও স্তনের চর্বি জাতীয় পদার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চাকা তৈরি হতে পারে। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান এমন অনেক নারীর কোন কারণে দুগ্ধবাহী কোন নালী বন্ধ হয়েও সেই অংশের প্রদাহ  সৃষ্টি হতে পারে।



কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে স্তনে  প্রদাহ দেখা  দেয়।দুগ্ধ গ্রহণকারী শিশুকে আক্রান্ত বিদেশ থেকে দুধ পান না করানোই ভালো যে ব্রেস্ট  সুস্থ রয়েছে সেটি দিয়ে সন্তানকেদুধ খাওয়ান। আর আক্রান্ত ব্রেস্টের  দুধ না খাইয়ে চেপে বা পাম্প করে ফেলে দিতে হবে। 



স্তনের  ভিতরে যদি পুঁজ জমে থাকে সেক্ষেত্রে অপারেশন করে পুঁজ বের করে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। আপনি যদি অপারেশন ভয় পেয়ে থাকেন তার জন্য ওষুধ না খেয়ে পুঁজ কমাতে  চান সে ক্ষেত্রে চাকা বা পিন্ডি আকৃতি ধারণ করতে পারে। বৃষ্টির আরেকটি রোগ আছে তার নাম হলো সিস্ট। সিস্ট তৈরি হতে পারে ব্রেস্টের কলা বা দুগ্ধবাহী নালী  যে কোন একটিতে।

 

  

আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বায়োপসি টেস্ট করে একে ক্যান্সার থেকে আলাদা করা যায়। আরো একটি স্তনের রোগ রয়েছে ফাইব্রোএডিনোমা। হাত দিয়ে পরীক্ষা করতে গেলে নির্দিষ্ট চাকার আকার খুব নড়াচড়া করে।  সেক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যথা হয় না আবার এগুলো অনেক সময় বেশ বড় আকৃতি ধারণ করে তখন সার্জারি করে নেয়া হয়। অনেক সময় নির্দিষ্ট চাকা বা পিন্ড পাওয়া যায়।



ফাইব্রোঅ্যাডেনোসিস গোটা গোটা ভাব কে। এ রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত করতে হলে আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং সুক্ষ সুই এর  সাহায্যে কোষ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। আমরা অনেকে জেনে থাকি N  যক্ষা শুধু মাত্র ফুসফুসে হয় তবে স্থানেও হয়।এটি বেশিরভাগ দেখা যায় অনেক বাচ্চাদের মা যারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে থাকে।



আবার অনেক ভালো অবস্থান সম্পন্ন নারীদের রোগ আক্রান্ত করে থাকে।বেশিরভাগ দেখা যায় যে ব্রেস্টে সামান্য ফোড়া হয়ে সেগুলো ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে থাকে।  এ রোগ ভালো হতে কিছুটা সময় লাগে। 



এ রোগ নির্ণয় করতে সহায়ক এফএনসি এবং আলট্রাসনোগ্রাফি।তবেযক্ষা নিয়ন্ত্রক ওষুধগুলো নিয়মমাফিক সেবন করলে রোগী দ্রুত ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমেরিকার একটি কলেজ অফ প্যাথলজি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে স্থানের ক্যান্সার নির্দোষ রোগ থেকেই হয়ে থাকে।



যা আমাদের ভাবনার বাইরে। সাধারণত স্তন ব্যাথা চাকা পিণ্ড হওয়া স্তনবৃন্ত  দিয়ে তরলপদার্থ  বেরিয়ে আসা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে এসব রোগীরা আসেন চিকিৎসকের কাছে।এসব উপসর্গ আবার কখনো কখনো মাসিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে। 



আবার কখনো কখনো যুক্ত হয়ে থাকে না তাই নারীদের উচিত নিজে নিজে স্তন পরীক্ষার নিয়ম শিখে নিয়ম অনুযায়ী মাসিকের পর মাসের পরবর্তী একটি নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী নিজের পরীক্ষা করা।সন্দেহজনক কিছু হয়ে থাকলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা আপনার সচেতনতাই আপনাকে নিরাপদ রাখতে পারে।ক্যান্সারের মত ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পারেন।



কান দিয়ে পুঁজ ও পানি পড়ার কারণ


কানের তিনটি অংশ থাকে বহী:কর্ণ ,অন্তঃকর্ণ ও  মধ্যকর্ণ। আপনার কান থেকে পুঁজ  বা পানি বের হয় তাহলে বুঝতে হবে এটি মধ্যকর্ণ রোগ। অনেকে এটিকে কান পাকা বলে থাকে।এটি যে কোন বয়সী হতে পারে। শিশুদের এ রোগের প্রবণতা বেশি। 


মাথার খুলির ভিতর ইউস্টেশিয়ান টিউব নামের একটি নল রয়েছে নলের একটি মাথা থাকে মধ্যকর্ণ। আরেকটি মাথা থাকে নাকের পিছনে ন্যাজোফেরিংস নামক জায়গায়। এই নলটি প্রশস্ত, খাটো আবার সোজাসুজি থাকে শিশুদের ক্ষেত্রে। বড়দের জন্য হতে পারে। 



শিশুদের বুকের দুধ বা ফিটারের দুধ কিংবা  কোনতরল  পদার্থ খাওয়ানোর সময় শিশুর  মাথা অবশ্যই একটু উঁচু করে ধরে নিবেন না হলে এই তরল কিছুটা হলেও  মধ্যকর্ণে   চলে যেতে পারে। আর এ থেকে সৃষ্টি হতে পারে পুঁজ বা কান পাকা।

 


কিছু কিছু বাচ্চাদের ঘনঘন ঠান্ডা লাগা ,শ্বাসতন্ত্রের উপর দিকে সংক্রমনের মাত্রা বেশি হওয়া, টনসিলের সমস্যা, ঘন ঘন সর্দি কাশি এসব থেকে সাইনোসাইটিস হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে এডিনয়েড  বড় থাকে। এসব শিশুদের ক্ষেত্রে ইউস্টেশিয়ান এর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। 



এর ফলে প্রথম দিকে হঠাৎ করে কানে প্রচন্ড ব্যথা জ্বর হয়ে থাকে।  পরবর্তীতে কানের পর্দা ফুটো হয়ে পানি বের হয়।  এমত অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ না করলে কানের পর্দার ছিদ্রটি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।পরে সংক্রমনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে কান দিয়ে বারবার পানি বা পুঁজ  বের হতে থাকে। 



এছাড়াও আঘাত জনিত সমস্যার কারণে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না গ্রহণ করলে পরে সর্দি-কাশি গলা ব্যাথা হলে পর্দা দুর্বল হয়ে পড়ে।  ফলে কান দিয়ে পুঁজ  বা পানি বের হতে পারে। 




স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণ ও সমাধান


মেয়েদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটা নির্দিষ্ট কৌণিক মাত্রায় ব্রেস্ট বা স্থান ঝুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক তবে কিশোর বয়সে ব্রেস্ট বা স্তন বিলে হয়ে যাওয়া এটা একটি স্বাভাবিক পর্যায়ে পড়ে না। এর অন্যতম কারণগুলো হলো ওজন বেড়ে যাওয়া, সন্তান গর্ভধারণ, ধূমপান অথবা বংশগত কারণে বড় আকৃতির ব্রেস্ট হওয়া।  এই অবস্থায় সাপোর্ট বা সঠিক আকারের ব্রা পরিধান না করা। এ সব কারণেই ব্রেস্ট ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 



নারীদের ব্রেস্ট অস্থিবন্ধনীতে আবদ্ধ। কখনো যদি ঐ সকল অস্থিবন্ধনী প্রসারিত হয় , পেশী কলার শক্তি হ্রাস পায়।তার কারণে স্তনের প্রাকৃতিক অবস্থান সাধারণত নিচের দিকে ঝুঁকে আসে। বেস্ট বা স্থানের ভোটার জায়গা থেকে স্তন একদম নিচের দিকে চলে আসে এবং ব্রেস্টের   বা স্তনের  দুই পাশের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার ফলে স্তন ঝুলে যায়।  এটি অনুমান করা যায়। 



উপসংহার

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি উপরের আলোচিত তথ্য পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।  এছাড়াও অন্যান্য সব তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন  অথবা নিচে গিয়ে কমেন্ট করুন যে কোন তথ্য জানার জন্য। সবাই সুস্থ থাকুন।  ভালো থাকুন।  ধন্যবাদ। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url