গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়ার কারণ
গর্ভকালীন সময়ে স্তনের বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। এ ধরনের পরিবর্তন স্বাভাবিক পরিবর্তন। তবে এসব পরিবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট বা স্তন থেকে পানি বের হয়ে থাকে।তবে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।গর্ভাবস্থায় শেষের দিক থেকে ব্রেস্ট থেকে দুধের মত হলুদাভ আর সাদা বা সোনালী রঙের আঠালো তরল বের হতে পারে।
এই তরল কে বলা হয় শালদুধ বা কোলোস্ট্রাম। বাচ্চা জন্মের পর এই দুধ প্রথম দুধ হিসেবে পান করে যাকে বলা হয় শালদুধ। এই শাল দুধে শিশু তার প্রয়োজনীয় নানান গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সমূহ সরবরাহ করে। শাল দুধ শিশুর এন্টিবডি করে থাকে এবং নবজাতক শিশুকে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু থেকে প্রতিরোধ করে।
গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট বা স্তন থেকে পানি বের হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। যাকে বলা হয় গর্ভাবস্থায় সাল দুধ। অনেকে এটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা করে থাকেন। দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। এটি একপ্রকার সংকেত।
কেননা শিশু জন্মের জন্য আপনার শরীরের জন্য এটি একটি প্রস্তুতি বা সংকেত মাত্র।গর্ভাবস্থায় ব্রেস্ট থেকে পানি বের হওয়া বা শাল দুধ বের হলে এক্ষেত্রে আপনার শরীরে যদি অস্বস্তি হয় অথবা গায়ের কাপড় ভিজে যায় সে ক্ষেত্রে টিস্যু পেপার বাব্রেস্ট প্যাড ব্যবহার করতে পারেন।
উক্ত সময়ে ব্রেস্ট বা স্তন যদি শুষ্ক বা পরিচ্ছন্ন রাখা না হয়। তাহলে স্তন যদি সবসময় ভেজা থাকে সে ক্ষেত্রে ছত্রাক জনিতক্ষত বা ফাংগাল বা ইনফেকশন হতে পারে।
প্রেগন্যান্সির সময় বুকে ব্যথা হয় কেন?
প্রেগনেন্সির সময় অর্থাৎ সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে এক থেকে তিন মাসের ভিতর স্তন বা বুকে চাপ লাগার সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও গর্ভধারণের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহ থেকে এমন ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।অনেক ক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসের পরেও কারো কারো এ ধরনের ব্যথা কমে আসতে পারে।
প্রেগনেন্সির শেষ তিন মাসের ভিতর আপনার ব্রেস্ট শিশুকে দুধ পান করার জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুতি নিতে সক্ষম করে তোলে । এ সময়ও পুনরায় স্থানে ব্যাথা শুরু হতে পারে।
আরেকটু সমস্যা রয়েছে যেমন শিশু জন্মের পর তাকে দুধ খাওয়ানোর সময়কালীন অনেকের স্তনে ব্যথা বা চাপ চাপ লাগতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় এটি নিয়ে চিন্তার করার কারণে এরপর আপনা আপনি ভাবি স্থানে ব্যথা চলে যায়।
*ব্যথা কমানোর জন্য উন্নত মানের আরামদায়ক ব্রা ব্যবহার করতে পারেন। এমন ব্রা ব্যবহার করতে হবে ব্রা গুলো যেন সঠিক সাইজের এবং খুব বেশি টাইট বা বেশি ফিটিং না হয়।
*ঘুমানোর সময়ে পাতলা কাপড়ের ব্রা ব্যবহার করতে পারেন।
*তোয়াল বা গামছায় বরফ বা ঠান্ডা কিছু পেচিয়ে স্তনে লাগাতে পারেন। এতে করে আরাম লাগবে ব্যথা কম লাগবে তবে বেশি সময় লাগানো যাবে না।
এছাড়াও উষ্ণ বা কুসুম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ঢিলেঢালা আরামদায়ক কাপড়চোপড় পড়তে হবে।ফাইবারযুক্ত খাবার বা আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কি স্তনে চুলকানি হতে পারে?
অনেক সময় হরমনের বিভিন্ন তারতম্যের কারণে গর্ভাবস্থায়কালীন স্তন সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হতে পারে। সাধারণত ভাবে গর্ভকাল যত বৃদ্ধি পায় স্তন তত বৃদ্ধি পায় এ সময় স্তনের ত্বকে টানটান হয়ে থাকে। এর ফলে স্থানের ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয় পরবর্তীতে স্তনে বা স্তনের বোটায় চুলকানি হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থা ছাড়া কখন বুকে দুধ আসে?
হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে স্তনে দুধ আসে যা গর্ভাবস্থা কালে ছাড়াও হয়ে থাকে। এজন্য কিছু ফেক্টর কে একটিভ হতে হয়। মাতৃত্ব; শারীরিক সামঞ্জস্যতা ;নারীর মানসিক সম্মতি বা প্রস্তুতি।
অনেক সময় দেখা যায় যে সন্তান জন্মদানের পর বা কয়েক মাস পর মা মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় বাহিরের দুধ পান করিয়ে থাকেন তারপরও বাচ্চার কান্না থামানোর জন্য সন্তুষ্টি করার জন্য যে সকল নারীরা তাদের স্তন চুসিয়ে থাকে।নারী তার উদ্দেশ্য অনুভূতি সহজে আলাদা করতে পারে এবং তার মস্তিষ্ক দেহের অভ্যন্ত স্তরের হরমোন সেভাবে রেসপন্স করে।একটা পর্যায়ে স্তনের দুধ চলে আসে।