থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয় বিস্তারিত

থ্যালাসিমিয়া হল একটি জন্মগত রোগ বা জেনেটিক রক্ত রোগ। ডাক্তার এম এ খান তিনি হলেন  রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ট্রান্সপ্লান্ট  ও বোন -ম্যারো  ফিজিশিয়ান এবং বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির একজন উপদেষ্টা। তার নিকট থেকে বিস্তারিত যেসব বিষয় জানা যায় সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।


থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয় বিস্তারিত


এটি এক ধরনের রক্তশূন্যতা এটি থ্যালাসেমিয়া।  জন্মগতভাবে এক পরিবার থেকে অন্য পরিবারের বংশ পরম্পরায় এই রোগ হতে পারে। যেকোনো বৈশিষ্ট্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মানবদেহের কমপক্ষে দুটি জিন দায়ী সেটি হল ক্রোমোজোমের ভিতর থাকে। গায়ের রং চুলের রং ও চোখের রং এছাড়াও শারীরিক গঠনও নির্ধারিত হয় জেনেটিকভাবে। 


থ্যালাসেমিয়া হলে অতিরিক্ত মাত্রায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে।জেনেটিক সমস্যার কারণে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে। রক্তে রয়েছে আরবিসি বা রহিত রক্তকণিকার মূল উপাদান সমূহ যা হলো হিমোগ্লোবিন নামে পরিচিত। হিমোগ্লোবিনের কাজ হল জীবনশক্তি অক্সিজেন বহন করে শরীরের সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া। আবার হিমোগ্লোবিনের ভিতরে রয়েছে গ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিন আবার যার রয়েছে দুটি আলফা জীন  ও  বিটা জীন গ্লোবিন চেইন।




জিনগুলো মানবদেহে ক্রোমোজোম এ ১১তম এবং ১৬ তম অবস্থান করে।দুটি জিনের বৈশিষ্ট্য হলো একটি বাবার কাছ থেকে আরেকটা মায়ের কাছ থেকে আসে। যদি কখনো একটি   জিনের মধ্যে ত্রুটি থাকে অথবা বাবা কিংবা মায়ের জিনের  ভিতর ত্রুটি থাকে সেক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন তৈরির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়। এভাবে থ্যালাসেমিয়ার সৃষ্টি হয়।

 

অনেক সময় দেখা যায় দুটি জিনের ভিতর ত্রুটি রয়েছে সেক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন তৈরির ক্ষেত্রে পরিমাণ অনেক কমে যায় এবং রক্তকণিকা গুলো নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভেঙে যায়। ফলে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়।কিছু কিছু সময় শিশুকাল থেকে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। যাদেরকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া রোগী বা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। 



তাদের জীবন স্বাভাবিক তুলনায় খুবই কঠিন হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদেরকে নিয়মিত রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে হয়। কিছু থ্যালাসেমিয়া উপসর্গ রক্তের চাহিদা মাঝামাঝি অবস্থানে থাকায় তাদেরকে ইন্টারমিডিয়া থ্যালাসেমিয়া বলা হয়। এ ধরনের রোগ বেশ কিছু ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল হিমোগ্লোবিন বি অন্যটি হিমোগ্লোবিন এই দুই ধরনের থ্যালাসেমিয়া।



থ্যালাসেমিয়া রোগের সংক্রমণ দেখা যায় বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার একটি পরিসংখ্যানে ২০০৮ সালের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের ৭ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক এর মধ্যে ৪ শতাংশ ই এবং ৩ শতাংশ বাহক -বি। তবে দেশের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে এর হার ১০% থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক হওয়ার আশঙ্কা যুক্ত।



থ্যালাসেমিয়া রোগের অপর নাম কী

এ রোগের অপর নাম হল থ্যালাসেমিয়া মেজর বা কুলি এনিমিয়া নামে পরিচিত।



থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ

সাধারণত মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা। পারিবারিক ভাবে বিয়ের প্রবণতা।  থ্যালাসেমিয়া যখন বাহকে -বাহকে বিয়ে যখন হবে তখন তাদের চারজন সন্তানের ভিতর অন্তত একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুর্ভাগ্যবশত দুটি সন্তানের মধ্যেও অনেক সময় দুজনেরই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মূল কথা হলো থ্যালাসেমিয়ার বাহক যত বৃদ্ধি পাবে এই রোগীর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে। 


থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ

থ্যালাসেমিয়ার রোগ বা বাহক রয়েছেন যারা তাদের মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া রোগ জন্মের পর থেকেই বা শিশুকাল থেকেই  থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কয়েকটি লক্ষণের নিম্নরূপ দেওয়া হলো:


*রক্তশূন্যতার কারণে মুখমন্ডল ফ্যাকাশে দেখাবে। 

* জন্ডিস হতে পারে বা চেহারায় হলুদ ভাব দেখা দিবে।

*মুখমণ্ডল বা চেহারার নাককাঠি পরিবর্তন আসবে যেমন মুখ চ্যাপ্টা, কপাল, থুতনি, সামনের দাঁত একটু ক্রোমিনের হয়ে যাবে। যেটিকে বলা হয় থ্যালাসেমিয়া ফেসিস।

*শরীর বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ বা প্লীহা  বড় হয়ে যাওয়া।

*এ ধরনের রোগের প্রতি রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। যার ফলে ঘন ঘন রক্ত দেওয়ায় শরীরের আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এটি একটি নতুন ঝামেলার সৃষ্টি হয় যেমন হার্টে লিভারের ও বিভিন্ন এন্ড্রোকারাইন অর্গনের ভিতর অতিরিক্ত পরিমাণ আয়রন জমে। এর সাথে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শারীরিকবৃন্দ সেকেন্ডারি সেক্স ক্যারেক্টার প্রকাশের বাধা সৃষ্টি হয়। একটা পর্যায় হার্ট ফেইলিউর , ডায়াবেটিস  লিভার সিরোসিসের মতো জটিল রোগের সম্মুখীন হয়ে যায়।  


থ্যালাসেমিয়া ভালো হওয়ার চিকিৎসা


থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত সাপোর্টটিভ চিকিৎসা দ্বিতীয়ত কিউরেটিভ  চিকিৎসা। 


সাপোর্টটিভ চিকিৎসা

সাপোর্টের চিকিৎসা প্রধান বিষয়বস্তু হলো ব্লাড ট্রান্সফিউশন। যে সকল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী শিশুকাল থেকে নিয়মিত রক্ত গ্রহণ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ট্রান্সফিউশন নির্ভরশীল। নিয়মিত রক্ত না গ্রহণ করলে সিবিআর রক্তশূন্যতা ছয় গ্রামের কম দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ থ্যালাসেমিয়া মেজর হলে শিশু বয়স ৬ মাস থেকে রক্ত শুন্য তার সৃষ্টি হয়ে থাকে।


যার ফলে নিয়মিতভাবে তাকে রক্ত দিতে হয়। পরিমিত বা নিয়মিত ভাবে রক্ত পরিসঞ্চালনের ফলে শিশুটির শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে, প্লীহা  হওয়ার ভয় থাকে না এবং হাড়ের ক্ষয় হয় না বা বিকৃত হয় না। অর্থাৎ স্বাভাবিকতা থাকে। তবে ব্লাড ট্রান্সফিউশন কোন কোন রুগীর  ক্ষেত্রে একমাস পর আবার কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে দুই মাস পর হয়ে থাকে।



শিশুকাল থেকে শিশুটির স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধির রক্ষার্থে ও থ্যালাসেমিয়া জনিত উপসর্গ রহিত রক্ষা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হিমোগ্লোবিনের ৯ গ্রামের বেশি ধারাবাহিকভাবে চালু রাখতে হয়। কেননা শিশুটির হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৯ গ্রামের নীচে বা ৯ গ্রাম হলে রক্ত দিতে বলা হয়। কারণ অক্সিজেনের পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিবে নয় গ্রামের নিচে নামলে বা 9 গ্রাম হলেও। শিশুদের খাদ্য মন্দা ও ক্লান্তি দেখা দিবে শারীরিকভাবে স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। একে বলা হয় সাপোর্টিভ  চিকিৎসা যা থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রয়োজনার্থে নির্মিত ট্রান্সফিউশন সিস্টেম।



সমস্যা এখানেই শেষ নয়।বছরের ১০ থেকে ১২ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরে রোগীর শরীরের ভিতরে অনেক পরিমাণ আয়রন জমে যায়। 


তখন আবার শরীর থেকে আয়রন বের করার জন্য আয়রন সিলেটিং নামক জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে যা নিয়মিত ব্যবহার সেবন করতে হয়। পরীক্ষা না করে এ ওষুধ দেওয়া যায় না তাই শরীরে কত পরিমাণ আয়রন জমে আছে তা পরীক্ষা করে মুখে খাবার বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বাবা মা শিশুকে রক্ত দেওয়া নিয়ে সংকোচ বোধ করে থাকে।  রক্ত দিতে চান না এ ভুল কখনো করবেন না।  এর ফলে শিশুর মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।  এমনকি শিশুর অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী  হয়ে যেতে পারেন  নিজেদের অজান্তে।

  


শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয় ওষুধ গুলোর নাম হল হাইড্রোক্সোরিয়া ও থালিডোমিয়াইড। ওষুধগুলো ব্যবহারের ফলে হিমোগ্লোবিন এর বাড়ার ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন মাত্রা  কিছুটা বৃদ্ধি পায়।  থ্যালাসেমিয়ারর প্রবণতা হ্রাস পেতে থাকে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের প্রয়োজন কমে যায়।




এছাড়াও ওষুধের পরিবর্তে ইনজেকশন লুসপাটরসেপ্ট নামক এক ধরনের সদ্য ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে যা উন্নত দেশগুলোতে পাওয়া যায়।এটি ব্যবহারের ফলে ব্লাড টেন্সনের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। এটি ব্যবহার করা যায় 18 বছর বয়স থেকে চামড়ার নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহ অন্তর অন্তর দিতে হয়। তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি চিকিৎসা চার লক্ষ টাকা যা আমাদের দেশের মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভব খুব কম হয়ে থাকে। 



কিউরিটিভ  চিকিৎসা 

আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন যে থ্যালাসেমিয়া রোগ পুরোপুরি নিরাময় হয়ে যায় কিনা একমাত্র বোন-ম্যারোট্রান্সপ্লান্ট ব্যবহারের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া নিরাময় করা যায়।পরবর্তীতে ব্লাড  ট্রান্সফিউশনের প্রয়োজন হয় না  রোগী  স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে শুরু করে।তবে চিকিৎসা মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করতে অনেক টাকার খরচ হয়। 


এ ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশের তেমন প্রসার হয়নি। বোন-মেরো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করতে হয় যেমন রোগীর ফিটনেস, নিয়মিত আয়রন চেক করা, আর্থিক সচ্ছলতার অধিকারী। 


বাংলাদেশের গড়ে প্রতিবছর 6 থেকে 7 হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকেন।  এ ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে বাহক যত হবে রোগী দুটোই বাড়বে।  এক পর্যায়ে দেশের আর্থসামাজিক বিদ্রুপ  প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। 


বাহকের সংখ্যা কমাতে হলে দ্রুত স্কিনিং প্রোগ্রাম চালু জারি করতে হবে।কেননা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে বিশেষ করে তাদের ক্ষেত্রে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র -ছাত্রীদেরকে স্ক্রিনে আওতায় আনা অতীব জরুরী।  বিশেষ করে তারাই থ্যালাসেমিয়ার বাহক  কিনা তা  সনাক্তকরণ করতে হবে।

 

যদি কখনো থ্যালাসেমিয়ার বাহকের মধ্যে বিয়ে সংঘটিত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে গৰ্ভাবস্থায়  ১০ সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তার মধ্যেপ্রিনেটাল  ডিএনএ টেস্ট করতে হবে।এই পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা বোঝা যাবে।  যার ভিত্তিতে বাবা-মা তাদের ভবিষ্যত সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। 


দেশের সাধারণ জনগণকে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরী।এটি কোন ছোঁয়াচে  রোগ নয় বা ক্যান্সারও নয়। এটি একটি প্রতিরোধ যোগ্য জন্মগত রোগ স্বাস্থ্য ও সচেতনতার বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।এছাড়াও স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকেও থ্যালাসেমিয়া বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।  যা থেকে শিক্ষার্থীরাও তাদের পরিবারকে সচেতন করতে পারবে। গণমাধ্যমে এর ভূমিকা অপরিসীম


আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের মোট থ্যালাসেমিয়া ও রোগের সংখ্যা ৮০ শতাংশ তার বেশিরভাগই উন্নয়নশীল দেশে রয়েছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে।  বর্তমান সময়ে থ্যালাসেমিয়া নিঃসন্দেহে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা।  থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের অধিকাংশ বাহক ও রুগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।  তাদের যদি নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যায় তাহলে তাদেরকে কর্মক্ষম্ভ করে তোলা সম্ভব এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। 




থ্যালাসেমিয়া কি ব্লাড ক্যান্সার

থ্যালাসেমিয়া এটি কোন ধরনের ব্লাড ক্যান্সার বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি হলো একটি বংশগত রক্তস্বল্পতা জনিত রোগ।  রক্ত অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কনার উৎপাদনের বিঘ্ন  ঘটলে থ্যালাসেমিয়া দেখা দেয়।  বহনকারী মানুষ সাধারণত রক্তস্বল্পতা নিয়ে ধুকতে থাকেন। 



থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রক্তশূন্যতা দেখা যায় কেন

থ্যালাসেমিয়া হলে শরীরের ন্যূনতম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা থেকে কমে গেলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় অর্থাৎ হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায় এখানে রক্তশূন্যতা দেখা যায়। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নয়ের নিচে নামলে রক্তশূন্যতা দেখা যায়, মুখমন্ডল ফ্যাকাসে হয়, বমি ভাব হয়, জন্ডিস হয় ইত্যাদি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url