ফিস্টুলা কত দিন পর পর বের হয়

ফিস্টুলা  মূলত কি? এটি হলো ভগন্দর বা নালিতে  ঘা। অর্থাৎ মলদ্বারের একটি বিশেষ রোগকে  বুঝায়।  এ রোগ সাধারণত পায়ুপথের মধ্যে হয়ে থাকে।প্রথমত এটি একটি মলদ্বারের পাশে ফোড়ায়  রূপ নেয়।  এরপর কিছুদিন যাওয়ার পর ব্যথা সৃষ্ট হয় এবং ফুলে যায়।এটি যেকোনো সময় ফেঁটে  মলদ্বারের পাশ থেকে কোন একটি জায়গা দিয়ে বেরিয়ে যায়।তারপর ব্যথা কমে যায়।রোগী বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।  ভালো থাকার পর দেখা যায় হঠাৎ করে মলদ্বার ফুলে যায় এবং ব্যথা অনুভব হয় দু চার দিন পর পুরানো সেই মুখ দিয়ে আবার নতুন করে পুঁজ বের হয়।



ফিস্টুলা কত দিন পর পর বের হয়

নিয়মিত চিকিৎসা  না করলে এ রোগটি বিশাল রূপ ধারণ করে। সাধারণত এ ধরনের সমস্যাকে রোগীরা তেমন ভাবে মূল্যায়ন করে না। স্বাভাবিক ভেবে থাকে।এ প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘ কাল  চলতে থাকে সে ক্ষেত্রে পুঁজ বের হওয়ার বিষয়টি ভিন্ন হয়ে থাকে।তখন ও  তারা বলে থাকে এটা সামান্য মাত্র আঠালো রস বের হয় বা মলদ্বার দিয়ে হালকা রক্ত বের হয়।আরো বলতে গেলে  একটু বেশি যায় সাথে সাধারণত রক্ত বের হয় না আবার কখনো কখনো সামান্য  পরিমাণ রক্ত বের হতে পারে।মলদ্বারের চারপাশে একাধিক মুখ হতে পারে। অনেক সময় এক থেকে ছয়টি মুখ হয়ে থাকে। সাধারণত মলদ্বার থেকেই শরীরের ভিতরে মল বের হয়।



মলদ্বার ফিস্টুলা  বলতে ছোট একটি সুরঙ্গ বা নালী যা মলদ্বারের ভিতরের গব্বরকে মলদ্বারের চতুর্দিকে ত্বকের সাথে সংযুক্ত করে থাকে।মূলত মানব শরীরের মলদ্বারের মাধ্যমেই শরীর থেকে মল বের হয়।

 


মলদ্বারে ভিতরে অনেকগুলো ছোট ছোট গ্রন্থি রয়েছে যা মিউকাস বা শ্লেষ্মা তৈরি করে। যখন এইগুলো আটকে যায় এবং সংক্রমণ হয়ে যায় যার ফলে ফোড়া হয়।সাধারণত ফোড়াগুলোই একটা সময় ফিস্টুলা রোগে পরিণত হয়।বেশির ভাগ রুগীর ক্ষেত্রে  এটি পরিলক্ষিত।

  


যেসব কারণে মলদ্বারে ফিস্টুলায় পরিণত হয়। ক্রোনস  ডিজিজ এটি একটি  অন্ত্রের প্রদাহ জনিত রোগ, এরপরে রেডিও থেরাপি, ট্রমা,যৌন রোগ, যক্ষা, ডাইভার্ট থাকলাইটিস একটি রোগ যেখানে ছোট থলি বড় অন্ত্রে  তৈরি হয়ে থাকে।স্ফীত  হয় এক সময় ক্যান্সার হয়ে থাকে। 


ফিস্টুলার প্রকারভেদ রয়েছে।  একটি হলো সাধারণ ফিস্টুলা ও জটিল ফিস্টুলা।সাধারণ  ফিস্টুলা অপারেশন সহজেই করা যায়।  তবে, জটিল ফিস্টুলা যেহেতু মলদ্বারের  গভীরের মাংসপেশীর মধ্যে  ঢুকে যায় তাই এর চিকিৎসা ও জটিল।  এ ধরনের অপারেশন করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা ভালো।  কেননা মলদ্বারের অনেক ভিতরে  ঢুকতে হয়। এ ক্ষেত্রে  রোগীর পায়খানা আটকে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।  এ জন্য  কয়েক ধাপে সীটন ব্যবহারে করলে  উন্নতি পাওয়া যায়। 


ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা পেতে বিশেষজ্ঞ কোলোরেক্টাল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে+৮৮০৯৬০৬৭৮৯০২৩।


 

ফিস্টুলা অপারেশন খরচ 


ফিস্টুলা অপারেশন ফিস্টুলা বা অ্যানাল বলতে পায়ু  পথে নালী ও পেরিয়োনাল ত্বকের মধ্যে একটি অস্বাভাবিক মাধ্যম তৈরী হয়।সাধারণত পায়ুপথের চতুর্দিকে বিভিন্ন গ্রন্থী থাকে যা মিউকাস  নিঃসরণ করে এবং মল বের হতে সাহায্য করে।  যখন এটা আক্রান্ত হয় জমাট বেঁধে গেলে ফোড়া তৈরি হতে পারে। অনেকে ফোঁড়াটিকে সামান্য  গণ্য করে।  যদি সঠিক চিকিৎসা না হয় সে ক্ষেত্রে এটি ফিস্টুলায় পরিণত হয়।


মূলত এ্যাকোস্ট নির্ভর করে অপারেশন খরচের উপর বা চারজনের উপর। নির্ধারিত করে বলা যায় না তবে কিছু কারণও ধারণা দেওয়া হলো খরচের।

 

ফিস্টুলার ধরণ ও  জটিলতার উপর নির্ভর করে সার্জন দক্ষতা  এবং অভিজ্ঞতা, হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ফি,এনেস্থেসিয়া ফি, এসব অন্যান্য রক্ত পরীক্ষা পরামর্শ বা পি -অপারেটিভ বলা হয়। এক্ষেত্রে ঢাকায় আনুমানিক খরচ হতে পারে ত্রিশ হাজার টাকা থাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত।


  এছাড়া বিস্তারিত জানতে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন-০১৭৪০৪৮৬১২৩। 


রোগ নির্ণয়

এনাল ফিস্টুলা নির্ণয় করা হয় সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে।ডাক্তার পায়ুপথ পরীক্ষা করেন ও ফিস্টুলার ট্রাক খুঁজে বের করেন।উপস্থিত বেপারের নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা এর গভীরতা এবং অভিমুখ এবং উন্মুক্ত স্থানের সংখ্যাগুলো চিহ্নিত করেন।ফিস্টুলা সঠিক  পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে কিছু সাধারণ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। 


অ্যানোস্কপি,আল্ট্রাসাউন্ড,কোলোনস্কোপি,ফেকাল অকাল ব্লাড টেস্ট এর সাথে অন্যান ব্লাড টেস্ট। 


অ্যানোস্কপি: পায়ু পথ ও মলদ্বারের অবস্থান নির্ণয় করতে  অ্যানোস্কপি করা হয়।পায়ু পথের নালীয় মলদ্বারের একটি পরীক্ষা।


আল্ট্রাসাউন্ড: আল্ট্রাসাউন্ড বলতে এম আর আই কে  বুঝায়।এটি ইমেজিং টেস্ট যার মাধ্যমে রোগীকে কোনরকম ব্যথা না দিয়ে  অ্যানোরেক্টাল অঞ্চলের তথ্য ও ভালো ছবি বের করে। 

কোলোনস্কোপি: কোলোনোস্কপি বলতে অ্যানেসথেশিয়া কে বুজায়। সাধারণত অ্যানেসথেশিয়া করেই ক্লোনোস্কপি করা হয়। এটি  পায়ু পথের মাধ্যমে ক্লোনের  মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়।এটি সাধারণত বিরহ দন্ত্রের টিস্যুৎ,পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বেশ কার্যকর। 


আমরা অনেক মনে করি যে ওষুধের মাধ্যমে স্কুলা এনাল ফিস্টুলাচিকিৎসা করা যায়। আসলে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা তেমন একটা যায় না কেননা চিকিৎসার জন্য সার্জারি প্রায় সব সময় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়।



সাধারণত দুই ধরনের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। ১.ওপেন ফিস্টুলটোমি। ২.লেজার  ফিস্টুলটোমি।

 

ওপেন ফিস্টুলটোমি: সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে ফিস্টুলা নালীর   সংক্রামিত অংশ কেটে  রক্ত পুঁজ বের করে। সংক্রামিত অংশগুলোকে বাদ দেয় এরপর সেই কাটা ছেঁড়া স্থানকে পুনরায় সেলাই করে, ব্যান্ডেজ করে ও নিরাময়ের জন্য রেখে দেওয়া হয়।কারণ একেবারে অপসারণ করা যায় না তাই পায়ুপথ এশফিংটারের  ক্ষতিটা কিছু এড়ানো যায়।


 

লেজারফিস্টুলটোমি:ওপেন ফিস্টুলটোমি এর সার্জারির তুলনায় কম কাটাছিরা করে এই অপারেশন করা হয়।  রক্ত পুঁজ  সংক্রামিত টিস্যু বের করার জন্য ফিস্টুলা পরিষ্কার করা হয়।এরপর আস্তে আস্তে লেজার প্রবেশ করানো হয় উভয় সার্জারি করতেই স্থানীয় অ্যানেস্থেশিয়া  প্রয়োজন হয়।



 

ফিস্টুলা থেকে কি ক্যান্সার হয়


এনাল ফিস্টুলা ও পাইলস রোগের কারণে মলদ্বারের পায়ুপথের বিভিন্ন স্থানে সমস্যা দেখা যায়। মলের  সাথে রক্ত পড়া ফুলে যাওয়া বা ব্যথা সৃষ্টি হওয়া এসব রোগ থেকে ক্যান্সার হতে পারে।কখনো যদি পায়ুপথে ক্যান্সার হয় তাহলে বলা হয় ফিস্টুলা থেকে ক্যান্সার হয়েছে।মলের সাথে বা পায়খানার সাথে রক্ত বের হয় তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। যেসব কারণে রোগগুলো সৃষ্টি হয় তার নিম্নরপ:


এনাল ফিশার, রেক্টাল পলিপ যা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে।ক্যান্সার,আলসারেটিভ ক্লোইটিস,ফিস্টুলা। 

   

অনেক রোগী স্থানীয় হাতুড়ি ডাক্তারদের কাছ থেকে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যথা কমানোর জন্য দীর্ঘকাল চিকিৎসা করে  থাকে।  তাদের ক্যান্সার হয়েছে তা তারা জানতে পারে না পরে উন্নত চিকিৎসা করতে যখন আসে তখন দেখা যায় যে তাদের ক্যান্সার পরিণত হয়ে গেছে। এটি একটি বড় কারণ। 



পাইলস ও ফিস্টুলা পার্থক্য


বর্তমান সময় মানুষের কাছে পাইলস ও  ফিস্টুলা একটি প্রচলিত সমস্যা। পালস ফিস্টুলা এজন্য রোগের কথা আজকাল ভালোই শোনা যায় আর সহজ ভাষায় দেশের মানুষ জানে অশ্ব নামে পরিচিত।  অনেকেসামান্য একটা রোগ ভেবে বলে পাইস রোগ অনেকে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।


পাইলস

সবারই কমবেশি মলদ্বারের সমস্যা হয়ে থাকে যেটাকে সাধারণত বলা হয় পাইলস রোগ।যে ধরনের হোক না কেন সবার পূর্বে পাইলসের কথাইভেবে  থাকে।  সবাইর ধারণা যে এটি পাইলস।   এটা জানে এখন রোগীরা সরাসরি বলেন আমার  পাইলসের অসুবিধা হয়েছে।সে ক্ষেত্রে কি করব?



মূলত পাইলস রোগের ক্ষেত্রে মলদ্বারের কিছু রক্তনালী থাকে সেগুলো কুশন হয়ে যায় সেগুলো ফুলে  যায়।এর কিছু কাজও রয়েছে যেমন মল  এসে জমে জমে যায় তখন একটু সহযোগিতা করে যদি কোন কারণে রক্তনালীর কুশন  গুলো অনেকাংশ ফুলে যায়।  তখন সেটি ধীরে ধীরে মলদ্বারের মধ্যে বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন ডাক্তারগন বলে থাকে বিভিন্ন বৈধ রয়েছেন ডাক্তারি বইতে। তখন এটিকে বলা হয় পাইলস  রোগ। 


ফিস্টুলা

ফিস্টুলা হলো মলদ্বারের একটি অস্বাভাবিক অবস্থান। মলদ্বারের দুই পাশের মধ্যে একটি নালীর  মত সৃষ্টি।যেটিকে  অস্বাভাবিক যোগাযোগ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি একটি ফোড়া। মলদ্বার থেকে মল  বের হওয়ার সময় এই ফোড়ার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।




অনেক ডায়াবেটিস রোগীদেরও ফিস্টুলা হয় তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা চিন্তিত।ফোড়া গুলো ফেটে গেলে এই অস্বাভাবিক নালীগুলো তৈরি হয়। তখন সাধারণত রোগীরা বলে থাকেন যে আমার কিছুদিন আগে একটি ফোড়া হয়েছিল সামান্য সেটি ফেটে গিয়ে পুঁজ  বের হতো মাঝে মাঝে পুঁজের  সাথে রক্ত আসে এবং ময়লা পানি আসে অনেক সময় মল বের হয়ে আসতে পারে।এই সমস্যাগুলোকে এক কথায় ফিস্টুলা বলে। 

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url